অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েল ইন্টারনেট এবং ফোন যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে অন্ধকারে ডুবে গেছে গাজা। তাই গাজা থেকে খবরও খুব কম আসছে।
ইন্টারনেট এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার পর এই অঞ্চলের বাসিন্দারা বাইরের বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফিলিস্তিনিরা জানতে পারছেন না তাদের প্রিয়জন, বন্ধু বা পরিবারের কেউ বেঁচে আছে কি না।
সাইবার নিরাপত্তা এবং ইন্টারনেট নিরীক্ষণ করে এমন একটি সংস্থা ‘নেটব্লক’ স্থানীয় সময় শুক্রবার গাজা উপত্যকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর দিয়েছে। বোমা হামলার ফলে ইন্টারনেট, সেলুলার এবং ল্যান্ডলাইন পরিষেবাগুলো সম্পূর্ণভাবে বন্ধ। পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই অঞ্চলটিতে ব্যাপক বোমাবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীও বলেছে, তাদের বিমান এবং স্থলবাহিনী গাজায় আক্রমণ তীব্রভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে।
ফিলিস্তিনি, সাহায্যকারী গোষ্ঠী, সাংবাদিক এবং সুশীল সমাজের সংস্থাগুলো বলেছে, তারা গাজায় কর্মীদের এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়েছে।
বেশির ভাগ স্থানে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন এবং জেনারেটরের জ্বালানি ফুরিয়ে যাওয়ায় ইতিমধ্যেই অন্ধকার নেমে এসেছে। গাজার ২.৩ মিলিয়ন মানুষ বাকি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ক্রমাগত বিমান হামলার বিস্ফোরণে গাজা শহরের আকাশ প্রতি ঘণ্টায় আলোকিত হচ্ছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার অর্থ, যুদ্ধে হতাহতের সংখ্যা এবং স্থল আক্রমণের বিবরণ বিশ্ববাসী জানতে পারবে না।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় গাজায় চিকিৎসাব্যবস্থা আরো ধাক্কা খাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ফিলিস্তিনের জন্য জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী লিন হেস্টিংস বলেছেন, ‘ফোন লাইন এবং ইন্টারনেট ছাড়া হাসপাতাল ও সাহায্য কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যাঘাত ঘটবে। যুদ্ধের অনেক নিয়ম আছে। বেসামরিক নাগরিকদের অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।’
ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ সব ল্যান্ডলাইন, সেলুলার এবং ইন্টারনেট যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করার কারণে তাদের অপারেশন রুমের সঙ্গে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।’ আরো বলেছে, ‘আমরা জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে জরুরি নম্বর ১০১ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর। ফলে আহতদের জন্য অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।’
এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস বলেছেন, ‘আমরা গাজায় আমাদের কর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্যকর্মী এবং বাকি সবার সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছি। ফলে নিরাপত্তা এবং রোগীদের তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, বিবিসি, আলজাজিরা
+ There are no comments
Add yours