আখাউড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় সাবেক সেনাসদস্য মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে

Estimated read time 1 min read
Spread the love

মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ( আখাউড়া প্রতিনিধি ) :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আক্তার হোসেন নামে এক সাবেক সেনাসদস্য। গত ১২জানুয়ারি রোজ বুধবার সন্ধ্যা ছয় ঘটিকার সময় পৌরশহরের সড়ক বাজার কলেজ রোড এলাকার তিতাস হার্ডওয়ার ও ইলেক্ট্রনিক্স দোকানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে তার উপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়৷ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই হামলায় আক্তার হোসেনের শ্যালক মোঃ রবিউল সানি ও গুরুতর আহত হয়। আহতদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে।বর্তমানে আহতরা ঢাকা সিএমএইচে চিকিৎসাধীন আছে। এঘটনায় গুরুতর আহত সাবেক সেনা সদস্য মোঃ আক্তার হোসেনের স্ত্রী সুমি আক্তার বাদী হয়ে চারজনকে আসামী করে আখাউড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন৷ আসামীরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামের মৃত দূবরাজ ভূইয়ার ছেলে শরীফ ভূইয়া,কামাল ভূইয়া,আরিফ ভূইয়া এবং রুবেল ভূইয়া। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,বরিশল থেকে তিন চারজন ছেলে দাড়ালো ছুরি নিয়ে সেনাসদস্য আক্তার হোসেনের দোকানে ঢুকে আক্রমণ চালায়। এতে তার শ্যালক রবিউল সানিও রক্তাক্ত হয় । পরবর্তীতে প্রতিপক্ষের ছুরির কুপে রক্তাক্ত হওয়ার পর আত্মরক্ষার জন্য সেনাসদস্য আক্তার তাদের প্রতিরোধ করে এবং উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এবিষয়ে আহত আক্তার হোসেনের স্ত্রী সুমি আক্তার জানান, হামলাকারীদের সাথে আমার ভাই সানির পূর্ব শত্রুতা ছিল।এ ঘটনার জের ধরে আমার ভাই এবং স্বামীকে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা দোকানে প্রবেশ করে দাড়ালো ছুরি, ব্যানার ,দা, লোহার রড দিয়ে হাতে, মাথায় এবং কপালে নির্মমভাবে কুপিয়েছে। মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সিসিক্যামেরার সন্ত্রাসী হামলার ভিডিও টি ভাইরাল হয়ে যায়। হামলাকারীরা অনেক বিত্তবান ও ক্ষমতাশীল হওয়ায় হামলার আট দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। হামলাকারীরা আমাকেও প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে৷তাদের হামলার ভয়ে আমার চার মেয়েকে নিয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছিনা।এখন অসহায় হয়ে আতংকের মধ্যে মানবেতর জীবনযাপন করছি। এঘটনায় আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হকের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান গুরুতর আহত সাবেক সেনাসদস্য আক্তার হোসেনের স্ত্রী সুমি আক্তার। হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে কামাল ভূইয়া জানান, রবিউলের সাথে আমার ভাগনির পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। রবিউল আমার ভাইদের হুমকি দিলে তারা থানায় আসার পথে রবিউল ও তার বোন জামাই আক্তার পথ আটকিয়ে হামলা করে। এতে রুবেল ভূইয়া,আরিফ ভূইয়া ও শরীফ ভূইয়া আহত হয়। এবিষয়ে আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান,পূর্ব শত্রুতার জেরে হামলায় উভয়পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে৷ দুইপক্ষের অভিযোগ পেয়েছি৷ মেডিকেল সার্টিফিকেট পাওয়ার পর তদন্ত শেষ হলে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

About The Author


Spread the love

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours