অনলাইন ডেস্ক॥
রাজধানীর মহাখালীর আমতলী এলাকার খাজা টাওয়ারে আগুন লাগায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট গ্রাহকদের ৪০ শতাংশ সেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। ভবনটিতে গুরুত্বপূর্ণ অনেকগুলো কোম্পানির ডাটা সেন্টার ও সার্ভার রয়েছে। যেগুলোর সঙ্গে সারাদেশের বেশিরভাগ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) ও ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) যুক্ত। ব্রডব্যান্ডের পাশাপাশি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই ভবনে আগুন লাগে। এরপর ভবনটির সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।এতে সারা দেশে ইন্টারনেট সেবা ও মোবাইল সেবায় অনেকটা বিঘ্ন ঘটেছে বলে জানিয়েছে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।
ইন্টারনেট সেবা পুনরায় সচল করতে হলে খাজা টাওয়ারে থাকা ডাটা সেন্টার প্রতিষ্ঠানগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা দাবি করছেন আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল করিম ভূঁইয়া বলেন, ‘সারাদেশে ৫০০ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ইন্টারনেট পাচ্ছে না। এই ক্ষতির কারণে ৪০ শতাংশ মানুষ কোনোভাবে ফেসবুক, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছেন না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে পরিমাণ ব্যাকআপ সিস্টেম আছে সেটা অপ্রতুল। ফেসবুক এবং গুগলের ডাটাবেজ রয়েছে। রবি ডিভাইস আছে, এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাংকের ব্যাকআপ সার্ভিস রয়েছে। এই ক্ষতির কারণে আগামীকালও সমস্যা হতে পারে।’
নাজমুল করিম ভূঁইয়া আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ইন্টারনেট সেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে ২৯ তারিখ সকালের দিকে ইন্টারনেটে গতি ফিরবে।’
+ There are no comments
Add yours