একজন কর্মবীর ও সফল উদ্যোক্তা আব্দুল মালেক। তাঁর জন্ম ০১ জানুয়ারি ১৯৭৭ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিসার গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে।
তাঁর পিতার নাম আব্দুল শহিদ এবং মায়ের নাম নুর বানু। তাঁর শ্রম, মেধা, সততা, একনিষ্ঠতা, আত্মবিশ্বাস, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা জেলার ব্যবসা-বাণিজ্যেও বিপ্লবী পরিবর্তন এনেছে।
দেশের সীমানা ডিঙিয়ে মালদ্বীপ, ভুটান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং মধ্যপ্রাচ্যসহ দুনিয়ার বিভিন্ন দেশে ঘুরে অভিজ্ঞতার মাধ্যমে তার ব্যবসার বিস্তার ঘটিয়েছেন।
ব্যবসার পাশাপশি তিনি জনহিতকর কর্মকাণ্ডেও নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন। তিনি বিভিন্ন আর্ন্জাতিক ও দেশীয় সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠণের সাথে নিজেকে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রেখেছেন।
শৈশব এবং শিক্ষা:- ছোট বেলা থেকেই তিনি ছিলেন বিনয়ী মিশুক ও দুরন্ত প্রকৃতির। সমবয়সীদের সাথে ঘুরে বেড়ানো এবং খেলাধুলায় ছিল খুব আগ্রহ। গরীব দু:খীদের পাশে দাঁড়িয়ে সহযোগিতা করার স্বভাব ছিল ছোটবেলা থেকেই। স্থানীয় স্কুলে প্রাইমারি শেষ করে পরবর্তীতে তিনি এসএসসি বা সমমানের এবং পরবর্তীতে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে এলএলবিতে ভর্তি হোন। কিন্তু ব্যবসায় মনোনিবেশ করার কারণে পড়াশোনা চালিয়ে যান নি তিনি। কিন্তু এখনো তিনি নিয়মিত পড়াশোনা করেন। জ্ঞান অর্জন এবং জ্ঞানীদের তিনি খুবই পছন্দ করেন।
তার মেধা আর পরিশ্রমের ফসল হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গড়ে তুলেছেন, দি ঝুমুর হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, গ্র্যান্ড এ মালেক চাইনিজ রেস্টুরেন্ট, গ্র্যান্ড এ মালেক আবাসিক হোটেল। আর সর্বশেষ তিনি যেটি নির্মাণ করেছেন, সেটি হলো এশিয়া মহাদেশের মধ্যে এটিই সুন্দর ও নান্দনিক বলে অনেকের ধারণা। যার নাম এ মালেক কনভেনশন হল এন্ড কমিউিনিটি সেন্টার। করোনাকালীন সময়ে প্রায় আড়াই বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে গড়ে তুলেছেন এই প্রতিষ্ঠানটি। বিদেশী মার্বেল পাথর, শব্দহীন ফ্যান, সেন্ট্রাল এসি ও অন্যান্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও মেধার সমন্বয়ে এটি নির্মিত হয়েছে।
এখানে নিয়মিত সভা-সেমিনার, বিয়ে বৌভাত, খৎনা জন্মদিন এইসব অনুষ্ঠানের জন্য সকলের প্রথম পছন্দ।
আর ঝুমুর হোটেলের দেশী খাবারের স্বাদ ও পরিবেশন প্রক্রিয়া তো এখন মানুষের মুখে মুখে।
সবকিছুর পরে একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক বলেন, সততা, পরিশ্রম থাকলে সাফল্য আসবেই।
সর্বশেষ তিনি দৈনিক ফ্রনটিয়ার পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক। জনপ্রিয় আইপি চ্যানেল এ এমটিভি বাংলা ও এ মালেক গ্রুপের তিনি চেয়ারম্যান।
তিনি একজন গায়ক ও গীতিকার। চিন্তাশীল পরোপকারী এই ধৈর্যশীল মানুষটির রযেছে একাধিক ইউটিউব চ্যানেল।
দান করেন তিনি, তবে তা নিরবে। প্রচুর পড়াশোনা করেন। ঘুরতে ভালোবাসেন।
সবসময়ই পজিটিভ চিন্তা করেন। যা নিজে করেন, তাই অপরকে করতে বলেন। কোনো কাজকে তিনি ঘৃণা করেন না।
মানুষ হিসেবে আমার দেখা একজন সত্যিকারের সাদা মনের সহজ সরল মানুষ।
চমৎকার সুন্দর গোছানে এক পরিবারে রয়েছে তাঁর সহচর জীবনসঙ্গী শিরীন আক্তার। দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে তাঁর। বড় ছেলে আশরাফুল ইসলাম ইয়াসিন বর্তমানে কানাডায় এমবিবিএস- এ অধ্যয়ণরত। বাকি দুইজন দেশেই পড়াশোনা করছে।
লেখক: রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস
বার্তা সম্পাদক
দৈনিক ফ্রনটিয়ার।
+ There are no comments
Add yours