অনলাইন ডেস্ক॥
একটি পাঙ্গাস মাছের ওজন যদি ১২০ কেজি হয়, তাহলে সেটা তো অবাক করার মতো সংবাদ হতে পারে। আরও অবাক করার মতো ব্যাপার হলো, এই বিশালাকৃতির দানবীয় জাতের পাঙ্গাস মাছ এখন চাষ হচ্ছে আমাদের দেশের পুকুরেই। বিশয়টি অনেকের কাছে অবাক বিস্ময়ের হলেও এই ব্যাপারটিকে বাস্তবে রূপদান করেছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অথচ মহাবিপন্ন জাতের এই মেকং জায়ান্ট পাঙ্গাস মাছ নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন আমাদের দেশীয় বিজ্ঞানীরা।
জানা গিয়েছে, ২০০৬ সালে সুদুর থাইল্যান্ড থেকে পৃথিবীর সবেচেয় বড় জাতের এই দানবাকৃতির পাঙ্গাস বাংলাদেশে আসে। আর তা বেড়ে ওঠে ত্রিশালের একটি হ্যাচারিতে। তবে ২০১৫ সালে এদের ৫০টির ঠিকানা হয় বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট-বিএফআরআইয়ের গবেষণা কেন্দ্রের নিজস্ব পুকুরে।
বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক মহাপরিচালক ড. মো. খলিলুর রহমান দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেন, মেকং জায়ান্ট পাঙ্গাস। এটা মেকং নদীর একটা মাছ। মেকং নদীর চীন, লাউস, কম্বোডিয়া ও ভিয়েতনাম হয়ে এটা ইয়োলো সাগরে পড়েছে। সেই নদী থেকে এই মাছটি নিয়ে এসেছিলেন ত্রিশালের রেনি ফিসারিজের কর্ণধার রেজা আলী। উনি আমাকে ৫০টি মাছ দিয়েছিলেন। এ মাছ গবেষণা করে পোনা উৎপাদন করা। এখানে বর্তমানে ১৭ বছর বয়সি ৪৭টি পাঙ্গাস আছে। যাদের গড় ওজন ১শ থেকে দেড়শো কেজি।
গবেষণা বলছে, এই মাছ তার জীবনকালের ১৭ থেকে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত বছরে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি ডিম দেয়। গবেষকরা বলছেন, এই মাছ থেকে পোনা মিললে আমাদের দেশে মাছে নতুন বিপ্লবের সূচনা হবে।
+ There are no comments
Add yours