অনলাইন ডেস্ক॥
এক বিলাসবহুল লিপস্টিক ব্র্যান্ডের নাম হচ্ছে এইচ. কউচার বিউটি ডায়মন্ড।
সৌন্দর্য ও ফ্যাশনবিষয়ক ওয়েবসাইট গ্ল্যামার এন গ্লো এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এই কোম্পানির একটি লিপস্টিকের দাম ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২০ কোটি ১৭ লাখ ৩৯ হাজার ৫৬০ টাকা। বলা হয় এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি লিপস্টিক।
এছাড়া বিলাসবহুল বিষয়কে তুলে ধরা অ্যালাক্স বলছে, একটি সাধারণ লিপস্টিক থেকে এই লিপস্টিকের দাম অনেক গুণ বেশি হওয়ার কারণ হচ্ছে লিপস্টিকটির কেস। এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৮ ক্যারেটের স্বর্ণ এবং ১২০০টি হীরা। সাধারণত এই হীরাগুলো গোলাপি রঙের হয়ে থাকে। তবে ক্রেতার পছন্দ অনুযায়ী এর রঙ কোম্পানি পরিবর্তন করে দিতে পারে। এছাড়া ক্রেতা চাইলেই কেসে নিজের নামসহ লিখতে পারবেন যেকোনো শব্দ বা বাক্য।
একটি লিপস্টিকের মূল্য ১৪ কোটি মার্কিন ডলার বলা হলেও অন্যভাবে তথ্যটি ভুল। কেননা লিপস্টিকটির সঙ্গে একটি মাস্কারাও থাকে। মাস্কারাটির কেসও স্বর্ণ ও হীরাখচিত। জুটির সম্পূর্ণ মূল্য ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। সাধারণ একটি লিপস্টিক ব্যবহারের নির্ধারিত সময় সীমা থাকে। কিন্তু এই লিপস্টিকটি সারাজীবনই ব্যবহারযোগ্য।
এই লিপস্টিক শেষ হওয়ার পর কোম্পানি থেকে নিজের পচ্ছন্দের রঙ অনুযায়ী কেসটিতে লিপস্টিক বসিয়ে নেয়া যায়। কারণ কোম্পানি থেকে লিপস্টিকটি আজীবন রিফিলযোগ্য। এছাড়া লিপস্টিকের সঙ্গে বিভিন্ন ডিসকাউন্টসহ রয়েছে আজীবন জরুরি পরিষেবা। তাইতো এত দামি লিপস্টিক হওয়ার পরও ফ্যাশন বিলাসিদের বিশেষ নজরে লিপস্টিকটি।
মহামূল্যবান লিপস্টিকটির নাম শুনে প্রথমেই মনে হবে লিপস্টিকটিও কেসের মতোই ডায়মন্ড দিয়ে তৈরি। ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। কেননা, এটি অন্যান্য লিপস্টিকের মতোই তেল, মোম, অ্যালকোহল, রঙ্গক ইত্যাদি দিয়ে তৈরি। তবে পার্থক্য হলো এই সমস্ত উপাদানগুলি প্রাকৃতিক সম্পদ থেকে আহরণ করা হয়েছে। এই উপাদানগুলি ছাড়াও কিছু অনন্য উপাদান সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতিটি কোম্পানিরই কিছু গোপন উপাদান থাকে এবং কোনো কোম্পানিই সেই গোপন উপাদান প্রকাশ করে না। তাই সেই লুকানো উপাদানগুলো সম্পর্কে জানা অসম্ভব।
ইন্টারনেট অবলম্বনে|
+ There are no comments
Add yours