অনলাইন ডেস্ক॥
পাহাড়জুড়ে যতদূর দৃষ্টি যাবে, শুধু শিমের ক্ষেত চোখে পড়বে। চোখে পড়বে তপ্ত দুপুরে কৃষকদের ক্ষেতে কাজ করার দৃশ্য।
কেউ ক্ষেতে পরিচর্যা করছেন, কেউ গাছ থেকে শিম তুলছেন। থোকায় থোকায় ঝুলছে বেগুনি রঙের শিম। এভাবে প্রতিদিন পরিশ্রমের ফসল চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। সমতলের পাশাপাশি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার পাহাড়ে রূপবান শিম চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন কৃষকেরা।
বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সমতলে জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে।
কৃষকেরা বাধ্য হয়ে পাহাড়ে চাষাবাদ করছেন। এলাকার শতাধিক কৃষক পাহাড়ে রূপবান শিম চাষ করেছেন। এই শিম চাষে তারা লাভবান হয়েছেন। উপজেলায় এক মৌসুমে ২০ কোটি টাকার শিম উৎপাদন হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড উপজেলায় উৎপাদিত রূপবান শিমের দেশজুড়ে রয়েছে বেশ কদর। এখানকার পাহাড়ে উৎপাদিত শিম বাজারে নেওয়ার প্রয়োজন হয় না। পাহাড়ের পাদদেশে অপেক্ষায় থাকেন ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে আসা পাইকাররা। তারা সেখান থেকে শিম কিনে ট্রাকযোগে নিয়ে যান বিভিন্ন স্থানে।
এ উপজেলা শিম উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। রূপবান শিম ছাড়াও বিশেষ করে ছুরি, লইট্টা, বাঁটা শিমের চাহিদা বেশি। কিন্তু শিম সুস্বাদু ও লাভজনক হাওয়ায় দিন দিন এর চাষ বেড়ে চলেছে। একজন শিম চাষি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তিনি অনেক বছর ধরে পাহাড়ে শিম চাষ করে আসছেন। এবার ২৫০ শতক পাহাড়ি জায়গায় শিমের আবাদ করেছেন। এ পর্যন্ত প্রায় ৮ লাখ টাকার শিম বিক্রি করেছেন তিনি।
কৃষকেরা জানান, রূপবান শিম ওঠার শুরুতে তারা প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রি করেছেন ১৬০-১৭০ টাকা দরে। এখনো ১৩০-১৪০ টাকা দরে শিম বিক্রি করছেন। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা হাওয়ায় এর উৎপাদন খরচ কিছুটা বেশি। চাষিদের অনেক কষ্ট করতে হয়। কোথাও ছড়া, কোথাও পিচ্ছিল পথ ও অনেক উঁচু টিলা বেয়ে শিমের ক্ষেতে যেতে হয়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ৭৫ একর জমিতে রূপবান শিমের আবাদ হয়েছে। চাষ করেছেন প্রায় ৩০০ কৃষক। বাঁশবাড়িয়া ও কুমিরায় বেশিরভাগ পাহাড়ি এলাকায় রূপবান শিমের আবাদ হয়েছে। এ ছাড়া সৈয়দপুর, বারৈয়ারঢালা ও সীতাকুণ্ড পৌর সদর এলাকায় রূপবান শিমের আবাদ হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours