ওপরে শিম নিচে মাছ, স্বাবলম্বী দেড় হাজার কৃষক

Estimated read time 1 min read
Spread the love

অনলাইন ডেস্ক॥
মৎস্য ঘেরে মাছ চাষের পাশাপাশি শিম চাষ করে সাবলম্বী হয়েছেন যশোরের কেশবপুরের কয়েকটি গ্রামের প্রায় দেড় হাজার কৃষক পরিবার। কেশবপুর বাজার থেকে বিস্তীর্ন এলাকায় গ্রামীণ সড়কের দুপাশে দেখা মেলে মাচায় এমন শিমগাছের দৃশ্য। এই গাছের মাচার আড়ালে দেখা যায় ছোট-বড় জলাশয়। সেইসব জলাশয়ের পাড় ঘেঁষে এখন শুধু শিমগাছের লতা। সড়কের দুই পাশে যতদূর চোখ যায় ততদূর সারি সারি শিমগাছের সমারোহ।

এই উপজেলার গৌরিঘোনা ইউনিয়নে প্রায় দেড় হজার মানুষ শিম ও মাছ চাষ করেন। এ ইউনিয়নের ভরতভায়না, সন্যাসগাছা, ভেরচি, বুড়লি প্রভৃতি গ্রামে বেশিরভাগ মানুষই ছোট বড় ঘের ও জলাশয়ে মাছ চাষের পাশাপাশি অতিরিক্ত আয়ের উৎস হিসেবে শিমের আবাদ করে থাকেন। এই সময়ে লাভের মুখ দেখেছেন কৃষকেরা।

সন্যাসগাছা গ্রামের এক কৃষক দেশের এক গণমাধ্যমকে বলেন, শিমগাছগুলোর এই সময়ে একটু পরিচর্যা প্রয়োজন হয়। বাজারে শিমের বেশ দাম। জলাশয়ের পাশে তিনশ’ মান্দা শিমগাছ লাগিয়েছেন তিনি। প্রতিদিনই ১০ থেকে ১৫ কেজি শিম বিক্রি করতে পারছেন তিনি।

তিনি বলেন, আস্তে আস্তে বাজারে শীতকালীন সবজি উঠছে, আর দামও কমছে। গত মাসে বৃষ্টির আগে খেত থেকে সর্বোচ্চ ৩২ কেজি শিম তুলেছি।

ভরতভায়নার এক বাসিন্দা গণমাধ্যমকে বলেন, ঘেরের পাশে তার ১০ কাঠা জমি রয়েছে। ৩১ অক্টোবর এক মণ শিম বিক্রি করেছেন।

আরেক কৃষক জানায়, তার ঘের রয়েছে ৪৬ শতক জমিতে। এই ঘেরে চিংড়ি ও সাদা মাছ যেমন, রুই-কাতলা চাষ করেছেন। ঘেরের পাড়ে কিছু লাউ গাছ আছে। গত মাস থেকে প্রতিদিনই লাউ বিক্রি করেছেন। প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫টি লাউ বিক্রি করা যায়। তিনি জানান, দুইদিন আগে ১৮ কেজি শিম বিক্রি করেছেন। সপ্তাহখানেক হলো কুমেড়োর ফলন শেষ হয়েছে। দুই হাজার টাকার বেশি কুমড়ো বিক্রি করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, তিন মাস পর মাছ তুলেন। গত সপ্তাহে ১৫ হাজার টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে। এই গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই ঘেরের সঙ্গে বাড়তি আয়ের জন্য সবজি চাষ করেন।

তার মতে, এই অঞ্চলে যেমন মাছের উৎপাদন ভালো তেমন সবজিও। এখানে বর্তমানে শিম চাষ বেশি হচ্ছে। এছাড়া লাউ, পালংশাক, কুমড়ো, টমেটোরও আবাদ হয়।

কেশবপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানায়, গোটা যশোর জেলা সবজি চাষে এগিয়ে। তেমন কেশবপুরেও বেশি সবজি চাষ হয়। আগাম সবজি হিসেবে গৌরীঘোনা ও সুফলাকাটি ইউনিয়ন এগিয়ে। এখানে বর্তমানে বেশ শিম চাষ হচ্ছে।

About The Author


Spread the love

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours