অনলাইন ডেস্ক॥
কুমিল্লার জেলার চান্দিনার শ্রীমন্তপুর গ্রামে পটল চাষের বাম্পার ফলন হওয়ায় তাদের মুখে হাসি ফুঠেছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে পটল চাষের উপর প্রশিক্ষণ নিয়ে ওইসব দরিদ্র সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা। কয়েক বছর আগে ওই সব জমিগুলোতে কোন প্রকার চাষাবাদ হতো না এবং কৃষকদের অভাব অনটন লেগে থাকতো।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রের বরাত দিয়ে দেশের একটি গণমাধ্যম তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানায়, এবার চান্দিনা উপজেলায় ৭৫ হেক্টর জমিতে পটলের আবাদ হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস হতে বীজ, সার দিয়ে কৃষকদের ধানের পাশাপাশি সবজি চাষে উদ্ভুদ্ধ করা হচ্ছে।
পটল চাষিরা জানান, প্রতি শতাংশ জমিতে পটল চাষে শ্রেণীভেদে খরচ পড়ছে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা এবং উৎপাদিত পটল বিক্রি করে খরচ বাদ দিয়ে আয় হয় ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা।
শ্রীমন্তপুর গ্রামের এক পটল চাষি ওই গণমাধ্যম বাসসকে জানান, এক সময় তাদের সংসারে অভাব-অনটন লেগেই থাকতো। কিন্তু বর্তমানে পটল চাষ করে তার সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে। তাদের ৬৬ শতক জমিতে পটল চাষ করে খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এ পটল বিক্রি করে প্রায় ৯৫ হাজার টাকা আয় করেছেন।
কৃষক তোফাজ্জল হোসেন জানান, এবার তিনি ১৫ কাঠা জমিতে পটল চাষ করেছেন। চার মাস পটলের জমি পরিচর্যায় গাছে ফল আসতে শুরু করে। এই ১৫ কাঠা জমি আবাদে তিনি এখন পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা খরচ করেছেন। এ পর্যন্ত ৬০ হাজার টাকা পটল বিক্রয় করেছেন। আরো এক মাস এমনিভাবে ফসল তুলে বিক্রয় করতে পারবেন বলে জানান। তিনি জানান, প্রতি সপ্তাহে এই জমি হতে ২-৩ মন পটল তুলেন। এখন যতই দিন যাবে ততই আরো বেশী ফসল তুলবেন। সামনের দিনে পটলের দাম আরো বাড়তে পারে, ফলে আরো বেশী লাভবান হবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিস জানান, কৃষকদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবানে জন্য সরকারের পক্ষ হতে নিরাপদ সবজি চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। উপজেলায় অনেক জায়গাতে কৃষক পটল চাষ করে লাভের মুখ দেখছে। আগামীতে এই উপজেলায় পটলের আবাদ বেড়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।
+ There are no comments
Add yours