নিউজ ডেস্ক॥
বর্তমান সময়ে দূষণ নামের এক বিশালাকার দৈত্যের কবলে পড়েছে পৃথিবী। যতই সময় যাচ্ছে ততই বাড়ছে সব ধরনের দূষণের মাত্রা। কেবল ডাঙা নয়, দূষণ থাবা বসিয়েছে সমুদ্রের তলদেশেও। এর মধ্যে অন্যতম মাইক্রোপ্লাস্টিক। সমুদ্রের পানির নিচভুমি ক্রমশ ভরে উঠছে ওই বিষাক্ত উপাদানে। যা নিয়ে চিন্তার শেষ নেই বিজ্ঞানীদের। এবার এই সমস্যার সমাধানে দুর্দান্ত পদক্ষেপ নিলো চিন। তৈরি হল রোবট মাছ। সেই মাছই খেয়ে ফেলবে ওই প্লাস্টিককণাকে।
ঠিক কেমন এই রোবট মাছ? এরা দেখতে সত্যিকারের মাছের মতোই। একই ধরনের আকার ও আকৃতি। বহুদিন ধরেই এই ধরনের কৃত্রিম মাছ তৈরি করছেন বিজ্ঞানীরা। মাছগুলি পাতলা পাখনার সাহায্যে সাঁতার কেটে জলের গভীরে অনায়াসে ঘুরে বেড়াতে পারে।
তবে এযাবৎ ৪০ রকমের রোবট মাছ তৈরি হলেও এই ধরনের মাছ এই প্রথম তৈরি করতে সক্ষম হলেন বিজ্ঞানীরা। চিনা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মাত্র আধ ইঞ্চি দৈর্ঘ্যের মাছগুলিকে স্পর্শ করলে মনে হবে সত্যিকারের কোনও মাছের গায়ে স্পর্শ করা হচ্ছে। এদের শরীরে এমন একটি বিশেষ ফিচার রয়েছে, যার সাহায্যে এরা মাইক্রোপ্লাস্টিক খেয়ে ফেলতে পারে।
আগামিদিনে সমুদ্র-সহ সারা পৃথিবীর জলাশয়কে মাইক্রোপ্লাস্টিকের হাত থেকে বাঁচাতে এই রোবট মাছ কার্যকরী হয়ে উঠবে, এমনই আশা গবেষকদের। তবে এই ধরনের রোবট মাছ জলের গভীরে ভেসে বেড়ালে সত্যিকারের মাছেদের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখছেন বিজ্ঞানীরা।
তাঁরা এমন ব্যবস্থা রেখেছেন যাতে বাইরে থেকেই মাছগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে এই মাছগুলিকে দিয়ে অন্য কাজও করানো যাবে। গবেষক ওয়াং ইউয়ান এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ”আমরা এই হালকা ওজনের খুদে রোবট তৈরি করেছি। একে নানা ভাবে কাজে লাগানো যাবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, বায়োমেডিক্যাল ক্ষেত্রে জটিল অপরাশেনেও সাহায্য করবে এই মাছগুলি।
এদের মানবদেহের ভিতরে প্রবেশ করিয়ে কোনও অসুখকে চিহ্নিত করতেও কাজে লাগানো যাবে।”
+ There are no comments
Add yours