খড়-খেজুর পাতার পণ্য রপ্তানি করে বছরে ২৫ কোটি টাকা আয়!

Estimated read time 1 min read
Spread the love

অনলাইন ডেস্ক॥

খেজুরের পাতা, কাশফুলের গাছ ও খড় দিয়ে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ধরণের পণ্য। আর ইতোমধ্যেই এসব পণ্য বিশ্ব জয় করেছে। বলছিলাম, সাতক্ষীরা জেলার গোপীনাথপুর গ্রামের নারীদের হাতে তৈরি নান্দনিক পণ্যসামগ্রীর কথা। কারণ এসব পণ্য এখন রপ্তানি হচ্ছে জার্মানি, ইতালি, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, পেরু, আমেরিকাসহ অন্তত ২৫টি দেশে। চাহিদা রয়েছে আরও ২৫ থেকে ৩০টি দেশে। পণ্য গুলোর মধ্যে রয়েছে শপিং বাস্কেট, রাউন্ড বাস্কেট, শ্রাবণী ঢাকনা বাস্কেট, স্কয়ার বাস্কেট, মিনি বাস্কেট, বালতি, সোর্ড, ওয়েস্ট বাস্কেট, মিরা, ডালি, টেবিলম্যাট ও রাউন্ডম্যাট।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ, এ জেলা থেকে বছরে ২৮ থেকে ৩০ কনটেইনার খড় ও খেজুর পাতার পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। যার বাজার মূল্য কমপক্ষে ২৫ থেকে ২৬ কোটি টাকা। এতে একদিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হচ্ছে, তেমনি অর্থনৈতিক সুবিধা পাচ্ছে জেলার শত শত পরিবার। জানা গেছে, গোপীনাথপুর গ্রামের প্রায় ৫০ শতাংশ নারী হস্তশিল্পের সঙ্গে জড়িত। তারা সংসারের কাজের পাশাপাশি দৃষ্টিনন্দন এসব পণ্যসামগ্রী তৈরি করেন। এ গ্রামের অনেক গৃহবধূর থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, তারা বিগত ১৫ বছর ধরে গৃহস্থালির কাজে ও ভবনের শোভাবর্ধনকারী ১০ থেকে ১৫ প্রকারের পণ্যসামগ্রী তৈরি করেন। তারা এসব পণ্য সাতক্ষীরার ‘ঋশিল্পী ইন্টারন্যাশনাল’ নামক একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করেন। এর মাধ্যমে প্রতি মাসে তারা প্রতিজনে ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা উপার্জন করে থাকেন। আর তাতে ভালোভাবে তাদের সংসার চলে যায়। প্রতিষ্ঠানটি এসব পণ্য ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে। জানা গিয়েছে, প্রান্তিক নারীদের স্বাবলম্বী করে তুলতে সরকার বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। অনেক নারী উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে এ জেলায়। গোপীনাথপুর গ্রামের শত শত নারী খড় ও খেজুর পণ্য তৈরি করে স্বাবলম্বী হয়েছেন। ঋশিল্পী ইন্টারন্যাশনাল সূত্রে জানা গেছে, তাদের প্রতিষ্ঠানটি বিগত দুই দশক ধরে স্থানীয় নারীদের কাছ থেকে শৈল্পিক বিভিন্ন ডিজাইনের পণ্য সংগ্রহ করে বিশ্ববাজারে রপ্তানি করে আসছে। আমেরিকা, সুইডেন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা জার্মানি, ইতালি, স্পেনসহ ২৫ থেকে ৩০টি দেশে এসব পণ্যসামগ্রীর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বছরে প্রায় ৩০ কনটেইনার পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে। যার মূল্য ২৫ থেকে ২৬ কোটি টাকা। আর এবাবেই এই নারীরা জাতীয় অর্থনীতিতে তাদের খড় ও খেজুর পাতার তৈরি হস্তশিল্প তৈরি করে অবদান রাখছে।

About The Author


Spread the love

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours