ঘাস চাষে আগ্রহ বাড়ছে

Estimated read time 1 min read
Spread the love

নিউজ ডেস্ক॥

গৃহপালিত পশুর জন্য গরুর খামারিরা ঘাস চাষ করছেন। অন্যান্য খাদ্য ও খড়ের দাম বেশি হওয়ায় এসব খাবারের পরিমাণ কমিয়ে ঘাস চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন তারা।

কৃষক ও খামারিরা গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবে ঘাসের পরিমাণ বাড়িয়ে গরু লালন-পালন শুরু করেছেন। ফসল কম হয় এমন অনাবাদি জমি, বাড়ির আঙিনা, পুকুর পাড়, পতিত জায়গা ও সড়কের দুপাশে ব্যাপকভাবে ঘাস চাষ শুরু করেছেন অধিকাংশ কৃষক। অনেকেই নিজের খামারের চাহিদা পূরণ করে অন্যের কাছে বিক্রি করেও বেশ লাভবান হচ্ছেন।

অনেকে আবার গবাদিপশুর জন্য বাড়তি খাবার হিসেবে কাঁচা ঘাস কিনে খাওয়াচ্ছেন। এতে দুধ দেওয়া গরুর দুধের পরিমাণ বাড়ছে। গাজীপুরের কালীগঞ্জে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ পৌরসভাসহ উপজেলার ৭টি ইউনিয়নেই বিভিন্ন জাতের ঘাস চাষ করছেন গরুর খামারিরা। এখানে প্রায় ৩২ একর জমিতে উন্নত জাতের ঘাস চাষ করা হয়। ওই পরিমাণ জমিতে ২৯ হাজার ১৭ টন ঘাস উৎপাদন হয়। এতে নিজেদের খামারের ঘাসের চাহিদা মিঠছে, সেই সঙ্গে অতিরিক্ত ঘাস বিক্রি করে আয়ও করছেন। জানা গিয়েছে, কালীগঞ্জে স্থায়ী ঘাস হিসেবে নেপিয়ার পারচুং-১, জাম্বু, জার্মান, পারা ও নেপিয়ার ঘাস চাষ হচ্ছে।

আবার মৌসুমি ঘাস হিসেবে ভুট্টা, খেসারি ও মাসকালাই চাষ করে থাকেন। ফসল ভালো হয় না এমন জমিতে অনেক কৃষক উন্নত জাতের ঘাস চাষ করে বাজারে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন।

স্থানীয় খামারিরা বাজারের গোখাদ্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে ঘাসের ওপর ঝুঁকে পড়ছেন। উপজেলার জামালপুর গ্রামের একন খামারি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তিনি সাড়ে তিন বিঘা জমির মধ্যে নেপিয়ার পারচুং-১ জাতের সবুজ ঘাস চাষ করেছেন। যা পুকুর পাড় ও সমতল জমিতে চাষ করা হয়েছে। তার খামারে গরুকে এটি খাওয়ানোর পরও অতিরিক্ত ঘাস থেকে যাচ্ছে। যা অন্য খামারির কাছে বিক্রি করে ভালো আয় করছেন বলে জানান তিনি।

চুপাইর গ্রামের এক খামারি বলেন, ‘তার গরু এবং ছাগলের খামার আছে। তাই গরুর খাদ্যের চাহিদা মেটাতে ঘাস চাষ করেন। তিনি ৭টি স্থানে প্রায় ৫ বিঘা জমিতে ঘাস চাষ করেন। এ মুহূর্তে তার এখানে ১০ জাতের ঘাস আছে। পাশাপাশি নতুন কোনো জাত এলে সেটিও নিয়ে আসেন তিনি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, ‘উপজেলার প্রায় সব খামারে দুধ বিক্রির জন্য এসব গরু পালন করা হয়। যেভাবে গোখাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে খামারিদের লোকসান হওয়ার আশঙ্কা আছে। বিকল্প হিসেবে খামারিদের অনাবাদি জমি, পতিত জায়গায় উন্নত জাতের ঘাস চাষ করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।  

About The Author


Spread the love

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours