চলছে বিয়ের মৌসুম: হবু বর-কনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা জরুরি

Estimated read time 1 min read

অনলাইন ডেস্ক॥
ফুল আর ফলের যেমন মৌসুম আছে; ঠিক তেমনি বিয়ে করারও মৌসুম আছে। বিশেষ করে নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ এই চার মাসকে বিয়ের মৌসুম বলা চলে। তবে বছরের অন্যান্য মাসেও অনেক বিয়ে হয়ে থাকে।
বিয়ের মাধ্যমে দুটি জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কে জড়ানোর আগে বর-কনের স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি জরুরি। কিন্তু বিষটি জরুরি হলেও এড়িয়ে যান অনেকেই!
তবে এ বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত আমাদের সবারই। কারণ, বিবাহ বন্ধনের মাধ্যমে বর-কনে একসঙ্গে সারাজীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত নেন।
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় বিয়ের পর শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণেও সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে। যেমন- সঙ্গীর শরীরে এইচআইভি জীবাণু থাকা, বন্ধ্যাত্বের সমস্যা ইত্যাদি।
এজন্য বিয়ের আগে হবু বর-কনের উচিত কয়েকটি মেডিকেল টেস্ট করানো। জেনে নিন বিয়ের আগে কোন কোন মেডিকেল টেস্ট করা জরুরি-
থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা: বিয়ের আগে হবু বর ও কনের থ্যালাসেমিয়ার পরীক্ষাও জরুরি। দুজনের মধ্যে একজনের শরীরেও যদি এই রোগ থাকে তাহলে সন্তানও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে।
নারীর ওভারি পরীক্ষা: জীবনযাত্রায় পরিবর্তনের কারণে অনেক নারীই ওভারির নানা সমস্যায় ভোগেন। তাই বিয়ের আগে নারীর ওভারি টেস্ট করানো প্রয়োজন।
কারণ, ওভারিতে সমস্যা থাকলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিম্বাণু তৈরির পরিমাণও কমতে শুরু থাকে। এক্ষেত্রে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ব্লাড ডিসঅর্ডার পরীক্ষা: বিয়ের আগে নারীর ব্লাড ডিসঅর্ডার পরীক্ষা করানো উচিত। এই পরীক্ষা করালে জানা যাবে হবু কনে রক্তাল্পতায় ভুগছেন কি না। কারণ সন্তান ধারণের জন্য শরীরে রক্তের পরিমাণ ঠিক থাকা দরকার।
বন্ধ্যাত্ব পরীক্ষা: ভবিষ্যতে সন্তান হবে কী না তা জানতে হবু বর ও কনে দুজনেরই বন্ধ্যাত্ব পরীক্ষা করানো গুরুত্বপূর্ণ। পুরুষের ক্ষেত্রে স্পাম টেস্ট করালে শুক্রাণুর স্থিতি ও কাউন্ট কতটা আছে তা জানা যায়। সময় থাকতে থাকতে এর চিকিৎসাও করা সম্ভব।
এইচআইভি: বিয়ের আগে হবু বর ও কনের এইচআইভি পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে রক্ত, শরীরের সিরাম নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষা করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধকারী ক্ষমতা রোধকারী ভাইরাসের উপস্থিতি জানা যায়।
এইচআইভি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এই ভাইরাস শরীরে থাকলে তার থেকে এইডস পর্যন্ত হতে পারে। অনেকেই আগে থেকে শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি টের পান না। ফলে ওই ব্যক্তি যৌন সম্পর্ক করলে তা সঙ্গীর শরীরে এমনকি গর্ভের সন্তানেরও হতে পারে এইডস। হবু বর বা কনের কারোর এইচআইভি সংক্রমণ থাকলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরো কয়েকবার ভাবা উচিত।
জেনেটিক টেস্ট: বিয়ের আগে হবু বর ও কনে উভয়েরই জেনেটিক পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। এই পরীক্ষা করলে জানা যাবে আপনার হবু সঙ্গীর কোনো জিনঘটিত সমস্যা আছে কি না।
রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা: হবু বর ও কনের রক্ত পরীক্ষা করানো জরুরি। কারণ স্বামী-স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ একে অপরের সঙ্গে সামঞ্জস্য না থাকলে গর্ভাবস্থায় সমস্যা দেখা দেয়। এ কারণে বিয়ের আগে দুজনেরই আরএইচ ফ্যাক্টর একই হওয়া দরকার।
এসটিডি পরীক্ষা: নারী-পুরুষ উভয়েরই এসটিডি বা যৌন রোগের পরীক্ষা করা উচিত। বিয়ের আগে একাধিক সঙ্গীর সঙ্গে অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্ক থাকলে এই পরীক্ষার মাধ্যমে তা জানা যায়।
মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা: একটি সুখী দাম্পত্য জীবন গড়তে দুজনকে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। বর্তমানে অনেকেই মানসিক নানা সমস্যায় ভোগেন।
কেউ হয়তো অতিরিক্ত রাগ করেন, আবার কারো সন্দেহপ্রবণতা বেশি, হঠাৎ হতাশ হয়ে পড়া, অবসন্নতা ইত্যাদি সমস্যা মানসিক রোগের কারণ হতে পারে। তাই বিয়ের পর ঝামেলা এড়াতে সঙ্গীর মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জানতে মেন্টাল হেলথেও যাচাই করুন।

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours