অনলাইন প্রতিবেদক॥
চন্দ্রাবতী সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ আজ শনিবার ৭ অক্টোবর প্রদান করা হয়। দেশের শীর্ষ স্থানীয় পাঁচ সাহিত্য ব্যক্তিকে এই সম্মান প্রদান করা হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিকাল ৪ টায় এই সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মুখ্য সচিব কবি আবু নাসের কামাল চৌধুরী।
শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক রফিকউল্লাহ খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির সাবেক সচিব বরেণ্য কবি আসাদ মান্নান এবং কবি ও গবেষক শিহাব শাহরিয়ার। প্রধান অতিথি বলেন, চন্দ্রাবতী পুরস্কার অব্যাহত থাকুক এবং আগামী দিনেও বিদগ্ধজনদের যথাযথ বিবেচনায় রেখে যেনো পুরস্কার প্রদান করা হয়।তিনি চন্দ্রাবতী পুরস্কার এবং চন্দ্রাবতী ছোট কাগজ এর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন। কবি আসাদ মান্নান বলেন,এমন মহত সুন্দর আয়োজন সাফল্যে ভরে উঠুক। সভাপতি বলেন,আজকের আয়োজন চমৎকার চন্দ্রাবতী পুরস্কার ভবিষ্যতে বাংলা সাহিত্যে বিশেষ স্থান অর্জন করুন। পুরস্কৃতজনরা গুণবিচারে চন্দ্রাবতী সাহিত্য পুরস্কারকে অন্তর থেকে গ্রহণ করে বলেন, আমার খুশি আমাদেরকে খুঁজে বের করে সম্মাননা জানানোর জন্য। আগামীতেও এই পুরস্কার সম্মানের জায়গা অক্ষুন্ন রাখতে পরামর্শ দেন।
আলোচকবৃন্দ পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখকদের সৃজনশীলতা তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন এবং সমকালীন সাহিত্যের প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে কথা বলেন।সর্বোপরি আজকের মতো ভবিষ্যতের আয়োজনের সাফল্য কামনা করেন। শুরুতে চন্দ্রবতী সম্পাদক অহনা নাসরিন আয়োজনের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণীজনদের নিয়ে বক্তব্য রাখেন আনন গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং আনন প্রকাশনির কর্ণধার কবি স ম শামসুল আলম, জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক বাংলা একাডেমির উপপরিচালক মনি হায়দার,বোধিদ্রুম পাঠচক্রের প্রতিষ্ঠাতা গল্পকার মোহাম্মদ আলী, জাতীয় সাহিত্য ফাউন্ডেশন এর সভাপতি কবি মির্জা হজরত সাঈজি,কবি ও সংগঠক স্বাধীন চৌধুরী।
উপস্থিত থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন এবং অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্ঢ় রাখেন কবি ও শিশুসাহিত্যিক ফারুক নওয়াজ, কবি, নাট্যকার, সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল (তিনি কানাডা থেকে অনলাইনে যুক্ত হন) জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক আকিমুন রহমান, প্রাবন্ধিক সরকার আব্দুল মান্নান, কবি ও গবেষক সালিম সাবরিন এবং চন্দ্রাবতীর বিশেষ সম্মাননা প্রাপ্ত গুণী কন্ঠশিল্পী ভারতের কলকাতার নজরুল গবেষক সোমঋতা মল্লিক।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন কবি ও বাচিকশল্পী মনিরুজ্জামান পলাশ ও জিনিয়া ফেরদৌস রুনা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার অন্যতম লেখক সাহিত্যিকবৃন্দ।
উল্লেখ্য, সাহিত্যের ছোট কাগজ চন্দ্রাবতীর আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু ৮ মার্চ ২০২৩। চন্দ্রাবতী পর্ষদের আরও একটি স্বপ্নের কথা জানান চন্দ্রাবতী সম্পাদক অহনা নাসরিন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কবি ও লেখকদের সৃজনশীল কর্মকে উৎসাহদানের উদ্দেশ্যে প্রতিবছর ৬ অক্টোবর চন্দ্রাবতী সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করা হবে। বাংলাদেশের সাহিত্যের উন্নয়ন ও বিকাশের কথা চিন্তা করে পুরস্কারটি নিয়মিতভাবে প্রদান করা হবে।
কবিতা, প্রবন্ধ, কথাসাহিত্য, গবেষণা, অনুবাদ এবং শিশু-কিশোর সাহিত্যে। প্রতিবছর পাঁচগুণীজনকে দেওয়া হবে এই পুরস্কার। প্রতিটি বিভাগের জন্য পুরস্কার স্বরূপ রয়েছে দশ হাজার টাকা নগদ অর্থ, ক্রেস্ট, সম্মাননাপত্র ও উত্তরীয়।
তথ্যসূত্র ও ছবি: প্রতিদিনের কাগজ
+ There are no comments
Add yours