জামাইদের নিয়ে বসেছে নবান্নের মাছের মেলা

Estimated read time 1 min read
Spread the love

অনলাইন ডেস্ক॥

সারি সারি দোকানে সাজানো রুই, কাতলা, চিতল, সিলভার কার্প, বিগ্রেড, বোয়ালসহ হরেক রকমের মাছ। চলছে হাঁকডাক ও দরদাম। এক কেজি থেকে শুরু করে ২০ কেজি ওজনের মাছ। লোকজনও উৎসাহ নিয়ে দেখছেন, কেউবা কিনছেন। এই দিনটির জন্য পুরো একটি বছর অপেক্ষায় থাকেন জয়পুরহাটের কালাই উপজেলাবাসী। পঞ্জিকা অনুসারে ১ অগ্রহায়ণে বসে এই মাছের মেলা। অগ্রহায়ণ মাসে কিছুটা ঠান্ডা হলেও মেলাজুড়ে আছে ক্রেতা-বিক্রেতা আর কৌতূহলী মানুষের ঢল। মেলায় নদী ও পুকুরে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা দেশীয় প্রজাতির টাটকা মাছ কিনতে ভিড় জমান ক্রেতারা ও পাইকাররা। ১৮ নভেম্বর শনিবার নবান্ন উৎসব ঘিরে জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পাঁচশিরা বাজারে দিনব্যাপী বসেছে মাছের মেলা। এই অগ্রহায়ণে মাঠ থেকে কৃষকদের ঘরে নতুন ফসল উঠলেই নবান্ন উৎসবের আয়োজন করেন উপজেলার সকল কৃষকেরা। আর এই নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর এখানে বসে মাছের মেলা। মেলায় অংশ নেয় উপজেলার ২৫ থেকে ৩০ গ্রামের মানুষ। এই উৎসবে প্রতি বাড়িতে মেয়ে জামাইসহ স্বজনদের আগে থেকে দাওয়াত দেওয়া হয়। জামাইদের নিয়ে বসা হয় এই মেলায়।

বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মানুষ মেলায় আসেন। মেলায় ২৫০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিগ্রেড ও সিলভার কার্প মাছ বেশি বিক্রি হয়েছে। রুই ও কাতলা মাছ বিক্রি হয়েছে ৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা কেজি দরে। মেলার জন্য এক বছর ধরে পুকুরে বড় বড় মাছ বাছাই করে চাষ করেছেন অনেকেী। তাই এবার পাঁচশিরা বাজারের মাছের মেলায় বড় বড় মাছ বিক্রি করতে পারছেন বলে জানান অনেক বিক্রেতা। মেলায় আসা ক্রেতা ও দর্শনার্থীরা জানান, বাঙালি জীবন থেকে উৎসবগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। এ রকম উৎসবে অংশ নিতে পারলে ব্যস্ততম জীবনে কিছুটা প্রশান্তি আসে। মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও নওগাঁ, বগুড়া, দিনাজপুর, গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে মাছ ব্যবসায়ী মাছ নিয়ে এসেছেন এই মেলায়। মাছের সরবরাহ বেশ ভালো।

About The Author


Spread the love

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours