অনলাইন ডেস্ক ॥
চীনের কুয়াংসি চুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ঝিনুক চাষীরা এ বছর মহা খুশি। কারণ এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে ঝিনুকের। সমৃদ্ধ হয়েছে স্থানীয় অর্থনীতি। উপসাগরের ভিতর গড়ে উঠেছে ঝিনুকের খামার। উপকূল থেকে দূরে জলের ভিতর এই খামারে চাষ হচ্ছে ঝিনুক বা ওয়েস্টার।
চীনের অনেক মানুষের প্রিয় খাদ্য ওয়েস্টার। সাধারণত লবণাক্ত পানিতে চাষ করা হয় ওয়েস্টার। দক্ষিণ চীনের কুয়াংসি চুয়াং স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের একটি ছোট শহর ফাংচ্যংকাং। বেইবু উপসাগরের তীরে অবস্থিত এই শহরের মাওলিং টাউনে ঝিনুক চাষীদের বাস।
এবছর ঝিনুক চাষীদের মুখে ফুটেছে সাফল্যের হাসি। ভোরবেলাতেই তারা সাগর পাড়ি দিয়ে চলে যান অফশোর ঝিনুক খামারে। চাষীরা ভাসমান খামারে রাফটর কাঠামোর উপর বসে ঝিনুক সংগ্রহ করেন। ঝিনুক খুলে সেটি সংগ্রহ করা হয়। ভিতরে যদি মুক্তা পাওয়া যায় সেটিও সংগ্রহ করা হয়। এই সুস্বাদু ওয়েস্টারগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে আসা হয় উপকূলে।
মাওলিং টাউনে এখন চলছে ঝিনুক সংগ্রহের ভরা মৌসুম। এ বছর ঝিনুকের বাম্পার ফলন হওয়ায় খুশি চাষীরা ।
এখানকার একজন ঝিনুকচাষী বছরে প্রায় ৫০ হাজর মার্কিন ডলার বা ৫৫ লাখ টাকা আয় করতে পারেন। ঝিনুক চাষীরা ট্রাকে করে সুস্বাদু ওয়েস্টার বাজারে পাঠান। প্রতিদিন মাওলিং টাউনের স্থানীয় চাষীরা ২৫ হাজার কিলোগ্রাম ওয়েস্টার বিক্রি করেন।
মাওলিং টাউনে ওয়েস্টার চাষ স্থিতিশীলভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাষীরা তাদের চাষের পরিধি বাড়াচ্ছেন। তারা সমবায় গঠনের মাধ্যমে ঝিনুক চাষের পরিধি প্রসারিত করতে সক্ষম হচ্ছেন। এতে চাঙ্গা হচ্ছে গ্রামীন অর্থনীতি, সমৃদ্ধ হচ্ছে জীবনযাত্রা।
+ There are no comments
Add yours