অনলাইন ডেস্ক॥
প্রযুক্তিইউটিউবের সহায়তায় পতিত জমিতে ড্রাগন চাষ করে ২০ লাখ টাকা আয়ের পথ তৈরী করেছেন এক যুবক। প্রাথমিকভাবে ২ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে এই ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন তিনি।
তার গল্পটা একটু ভিন্নতর। শিক্ষাজীবনে নিজের নামে থাকা একটি ব্যাংকের স্থায়ী আমানত ভেঙে দুই লাখ টাকা পান। সেই টাকা দিয়েই শুরু করেন স্বপ্নের কৃষি খামার।
২০১৬ সালে মাত্র আটটি ড্রাগনের চারা নিয়ে যে স্বপ্ন শুরু করেছিলেন তাজ, কয়েক বছরের ব্যবধানে তার বাগানে এখন ফলযোগ্য ড্রাগন গাছ রয়েছে ১০ হাজারের ওপরে। এর মধ্যে বাণিজ্যিক উৎপাদনে তিনি আট ধরনের জাত ব্যবহার করলেও তার কাছে আরও বেশ কিছু উন্নত জাতও রয়েছে। প্রতিটি ড্রাগনগাছ বছরে ৮ মাস একাধারে ফল দেয়। প্রতিটি গাছ থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত ফল পাওয়া যায়। তিন বছরে একটি ড্রাগন গাছ পরিপক্বতা অর্জন করে। ১৫ বছর পর্যন্ত ফল দিতে সক্ষম ড্রাগনগাছ।
গাজীপুর জেলার শ্রীপুরের মাওনা গ্রামের মমতাজ উদ্দিনের ছেলে বায়েজিদ বাপ্পী তাজ এখন একজন সফল উদ্যোক্তা। স্নাতক সম্পন্ন করে এখন দিনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করেন ড্রাগন চাষ সম্প্রসারণে। চারা তৈরি, এলাকার বেকার যুবকদের উৎসাহিত করা, প্রশিক্ষণ দেয়া, বাগান তৈরিতে সহায়তা করাই তার মূল কাজ। দীর্ঘ ৬-৭ বছরে নিজের স্বপ্ন পূরণের পথে অনেকটা এগিয়ে এখন অন্যদেরও তিনি ড্রাগন ফল চাষে পথ দেখাচ্ছেন।
বায়েজিদ বাপ্পি তাজের বাবা গণমাধ্যমকে জানান, বিদেশি ফল চাষের পেছনে তিনি তার ছেলেকে প্রথমে নিরুৎসাহিত করেন। পরে যখন দেখতে পান তার বাগানে ফুল-ফল এসেছে, এরপর থেকে তারও ভালো লাগা শুরু হয়। প্রথমে সহায়তা না করলেও পরে নিজের আগ্রহ তৈরি হয়। ছেলের সঙ্গে নিজেও কাজ শুরু করেন। এখনতো বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়েছে, বছরে ড্রাগন চাষ করে ভালো আয়ও হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বায়েজিদ বাপ্পি তাজ গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের দেশের আবহাওয়ার উপযোগী হওয়ায় বিদেশি ফলটি মানুষের মধ্যে জনপ্রিয় হচ্ছে। বাণিজ্যিক উৎপাদনে এসে বছরে ১৮-২০ লাখ টাকা আয় করতে পারছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, তার বাগানে বর্তমানে ৩২ ধরনের ড্রাগন ফলগাছ ও গাছের চারা রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি জাতের ড্রাগন বাজারজাত ও উৎপাদন করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মার্কেটিং করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে চারা পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। লাল, গোলাপি, সাদা, বেগুনি, হলুদসহ বিভিন্ন জাতের ড্রাগনের চারা রয়েছে।
+ There are no comments
Add yours