অনলাইন ডেস্ক॥
মূল্যস্ফীতি নতুন উচ্চতায় উঠেছে। নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে, সঞ্চয় কমেছে। এর মধ্যেও বাংলাদেশে বাড়ছে কোটিপতির সংখ্যা। এক বছরের ব্যবধানে নতুন করে সাত হাজারের বেশি কোটি টাকার ব্যাংক হিসাব বেড়েছে।
ব্যাংক হিসাবে (অ্যাকাউন্ট) কোটি টাকার বেশি আছে, এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এখন এক লাখ ১৩ হাজার ৫৮৬। এক বছর আগে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর শেষে কোটি টাকার এই হিসাব ছিল এক লাখ ছয় হাজার ৫২০টি। বছরের ব্যবধানে কোটি টাকার হিসাব বেড়েছে সাত হাজার ৬৬টি। তিন মাসে এ রকম হিসাব বেড়েছে ৩২টি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। ২০০৬ সালে দেশে কোটিপতির সংখ্যা ছিল সাড়ে আট হাজার। এই হিসাবে গত ১৬ বছরে কোটিপতি বেড়েছে এক লাখ পাঁচ হাজার জন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, যখন মূল্যস্ফীতি বাড়ছে সেই সময়ে কোটিপতি বাড়ার মানে হচ্ছে টাকা কিছু মানুষের হাতে বন্দি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি আমানতকারী ছিল পাঁচজন, ১৯৭৫ সালে তা ৪৭ জনে উন্নীত হয়। ১৯৮০ সালে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা ছিল ৯৮। এরপর ১৯৯০ সালে কোটিপতি হিসাবধারী হয় ৯৪৩টি, ১৯৯৬ সালে দুই হাজার ৫৯৪টি, ২০০১ সালে পাঁচ হাজার ১৬২টি, ২০০৬ সালে আট হাজার ৮৮৭টি এবং ২০০৮ সালে ছিল ১৯ হাজার ১৬৩টি। ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে এ রকম আমানতকারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৩ হাজার ৮৯০। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বেড়ে তা দাঁড়ায় এক লাখ এক হাজার ৯৭৬। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সেই হিসাবের সংখ্যা ছিল এক লাখ ৯ হাজার ৯৪৬।
সূত্র: কালের কণ্ঠ
+ There are no comments
Add yours