অনলাইন ডেস্ক॥
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়। হিমালয়ের পাদদেশে জেলাটির ভৌগলিক অবস্থান হওয়ায় পঞ্চগড়কে বলা হয় হিমালয় কন্যা।প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এ পঞ্চগড়। খালি চোখে হিমালয়ের সর্বোচ্চ চূড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা অবলোকন, পাহাড়ি ঢল থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ জলাধারার নদী, সমতল ভূমির চা-বাগান, বিস্তৃর্ণ বনাঞ্চল আর প্রাগৌতিহাসিক নানা স্থাপনা আর দুর্গ পঞ্চগড়কে গড়ে তুলতে পারে দেশের অন্যতম পর্যটন নগরী হিসেবে। অবস্থানগত কারণে পঞ্চগড় একটি শীতপ্রবণ জেলা। অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত এখানে প্রচণ্ড কুয়াশাসহ শীত পড়ে। আর নভেম্বর থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এখানকার তাপমাত্রা ৪-১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে।ফলে যারা শীত উপভোগ করতে চান তাদের জন্য আদর্শ জেলা হতে পারে পঞ্চগড়। আর হিমালয় ছুঁয়ে আসা হিমেল হাওয়াতো থাকছেই। পঞ্চগড়ের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম খালি চোখে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শন, তেঁতুলিয়া জিরো পয়েন্ট, বারো আউলিয়ার মাজার, শাহী মসজিদ, সমতল ভূমির আরগনিক চায়ের বাগান, কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট, আনন্দ ধারা, ভিতরগড় ও মহারাজের দীঘি, বোদেশ্বরী মহাপীঠ মন্দির, গোলক ধাম মন্দির,
বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট ও বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর, পাহাড়ি স্বচ্ছ জলের মহানন্দা নদী, পাথর সমৃদ্ধ রকস মিউজিয়াম, তেঁতুলিয়া ডাকবাংলো, চতুর্থ চীন বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু, খয়ার বাগানসহ বিস্তৃর্ণ বনাঞ্চল ময়নামতিরচর।আপনি জেনে অবাক হবেন যে, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা থেকে নেপালের দূরত্ব মাত্র ৬১ কিলোমিটার, এভারেস্ট শৃঙ্গ ৭৫ কিলোমিটার, ভুটান ৬৪ কিলোমিটার, চীন ২০০ কিলোমিটার, ভারতের দার্জিলিং ৫৮ কিলোমিটার ও শিলিগুড়ি ৮ কিলোমিটার আর মুগ্ধতা ছড়ানো কাঞ্চনজঙ্ঘার দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার। ফলে ভৌগলিকভাবেই পঞ্চগড় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার।গত কয়েক বছর থেকে তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে খালি চোখেই দেখা মিলছে হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘা। অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের পুরোটা সময় শীতের মেঘমুক্ত নীলাকাশে ভেসে ওঠে তুষারশুভ্র হিমালয় ও কাঞ্চনজঙ্ঘা। তেঁতুলিয়া উপজেলা শহরের উপকণ্ঠে মহানন্দার তীর ঘেঁষা সরকারি ডাকবাংলা চত্বর কিংবা জিরো পয়েন্ট থেকে দেখা মেলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় পর্বতমালা হিমালয়ের। পাশাপাশি দার্জিলিংয়ের সবুজে ঘেরা পাহাড় শ্রেণীও দেখা যায় স্পষ্ট।
+ There are no comments
Add yours