পৃথিবীর সবচাইতে দামি এই গাছটি হলো চন্দন গাছ। এটা হতে পারে একজন মানুষের জীবনের পেনশনের মতো। কৃষি নির্ভর অঞ্চল হিসেবে এই উপমহাদেশে ধান গম থেকে শুরু করে নানান ফসলের চাষ হয়। এর পাশাপাশি পৃথিবীতে এমন একটা জিনিস চাষ হয় যে গাছের দাম পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি। কেউ যদি এক কাঠা সেই গাছের চাষ করতে পারে তাহলে সে কোটিপতি হয়ে যাবেন। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বাড়িতে পুজো হোক বা অনান্য শুভ অনুষ্ঠান সমস্ত ক্ষেত্রেই চন্দনের আবশ্যকতা আছে। সবক্ষেত্রেই চন্দন কাঠ ঘষে চন্দন তৈরি করা হয়। কেউ যদি এক একর জমি জুড়ে এই চন্দন গাছের চাষ করেন একটা সময় তিনি ৩০ থেকে ৩২ কোটি টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারবেন। কোন ব্যক্তি যদি একটি গাছ চাষ করতে পারেন তাহলেও কমপক্ষে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা পাবেন এটা । আমাদের এই অঞ্চলে চন্দন কাঠের ব্যবহার আছে। তবে এর চাষাবাদে তেমন আগ্রহ নেই। সাধারণত চন্দন তিন প্রকারের। শ্বেতচন্দন, রক্ত চন্দন বা লাল চন্দন এবং পিত চন্দন। তবে পিত চন্দনের কথা শোনা গেলেও এর কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায় না।
শ্বেত এবং রক্ত চন্দন দুটিই ঔষধ ও প্রসাধনী শিল্পে সেই প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। এর মধ্যে শ্বেতচন্দন এর মূল্য বেশী। একটি চন্দন গাছ সামান্য পরিচর্যায় একজন মানুষকে ১০-১৫ বছরের ব্যবধানে দিতে পারে পেনশনের মত আর্থিক সুবিধা। আমাদের দেশের সব এলাকাতেই চন্দনের চাষ করা সম্ভব। জানা যায়- শ্বেতচন্দন গাছ থেকে তেল, প্রসাধনী, ঔষধ ও দামী আতর, ধুপ, সাবান, পাউডার, সাধারণ আতর, ক্রিম, দাত মাজার পেষ্ট তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। অনেক হোমিওপ্যাথি ঔষধ আছে যাতে চন্দনের ব্যবহার হয়। তাই শ্বেত চন্দনের উপকারিতা বলে শেষ করা যাবে না। প্রশ্ন জাগতে পারে আসল চন্দন চেনার বিষয়ে কী কী খেয়াল রাখতে হবে? চন্দন কাঠ আসল হলে এটা হাতে নেয়ার সাথে সাথেই আপনার হাত একটি মিষ্টি সুগন্ধ ছড়িয়ে পড়বে। আসল চন্দন কাঠ শুধু আপনার হতেই নয় এমনকি আপনার স্থানের চারপাশ তখন সুগন্ধি করে দিতে পারে। প্রকৃত চন্দন কাঠের গন্ধ কয়েক দশক ধরে স্থায়ী হয় । এই কাঠ সাধারণত ভারী, হলুদ, এবং হালকা খসখসে হয়ে থাকে।
+ There are no comments
Add yours