অনলাইন ডেস্ক॥
ইউটিউবে ‘পেকিন স্টার-১৩’ জাতের হাঁসের খামারের একটি ভিডিও চোখে দেখে তাতে প্রেরণা পেয়ে বাড়ির সামনে এই জাতের সাদা হাঁসের খামার গড়ে তুলেন এক ছাত্র।
তিনি ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার মোকামিয়া গ্রামের কলেজ ছাত্র আবু কাওছার। আবু কাওছার বর্তমানে পার্শ্ববর্তী নালিতাবাড়ি উপজেলার সরকারি নাজমুল স্মৃতি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। পাশাপাশি অবসর সময় ব্যস্ত থাকেন নিজের হাঁসের খামারে। বাড়ির সামনে দেড় শতক জায়গায় গেলো দুই মাস আগে ৫০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করেন তার এই হাঁসের খামার।
একটি বেসরকারি কম্পানি থেকে ১১০ টাকা দরে এই হাঁসের বাচ্চা ক্রয় করেন তিনি। বর্তমানে তার খামারে ২৯০টি হাঁস রয়েছে। খামারের ভেতর তৈরি করা হয়েছে মাচা। পাশাপাশি ছোট ছোট পানির হাউজ রয়েছে। পরিচিত দেশি জাতের হাঁসের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে ব্যতিক্রমী পেকিং জাতের হাঁস পালন করে এলাকায় আলোড়ন তুলেছেন এই উদ্যোক্তা। তার এখানে হাঁসের খামার দেখে স্থানীয়রাও এ হাঁস পালনে উৎসাহিত হচ্ছেন। তার এই কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য তিনি হয়ে উঠেছেন একাধিক গণমাধ্যমের শিরোনাম।
এই হাঁস পালনে লাভের বিষয়ে তিনি বলেন, এই জাতের হাঁসগুলো খুব দ্রুত বাড়ে। এদের বুকের মাংসের সাইজ আমাদের দেশি জাতের হাঁসের চেয়ে বড়। এদের ডিম বেশ বড় ও সুস্বাদু। দুই থেকে তিন বছর বয়স পর্যন্ত এরা ডিম দেয়। ডিম উৎপাদন কমে গেলে দুই বছর পর হাঁসগুলো মাংস হিসেবে বাজারে বিক্রি করা যায়। খুব দ্রুত বড় হয়। মাত্র সাড়ে তিন মাসেই ডিম আসতে পারে।
অন্য জাতের হাঁসের সাথেও একত্রে এদের পালন করা যায়।
মূলত মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যে হাঁস পালন করছেন তিনি। এই হাঁসগুলো মাত্র ২০ দিনে এককেজি ও ৫৫ দিনে চার কেজি ওজনের হয়। বাজারেও এই হাঁসের মাংসের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ইতিমধ্যেই হাঁস ও বাচ্চা নেওয়ার জন্য তার সাথে অনেকেই যোগাযোগ করছেন। হালুয়াঘাট উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস জানায়-এই পেকিন হাঁসের সবচেয়ে ভালো দিক হলো, এরা ব্রয়লার মুরগির মতো খুব অল্প সময়ে বেড়ে যায়।
ওজনও হয় বেশি। যার কারণে খুব কম সময়ে ভালো টাকায় এটি বিক্রি করা যায়। এই হাঁস দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। নিরাপদ মানসম্মত প্রাণীজ আমিষ চাহিদা পূরণে এটি অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা করেন।
+ There are no comments
Add yours