বিশাল মাঠে একসাথে ৬০ হাজার মানুষ খাবার খেতে পারেন

Estimated read time 1 min read
Spread the love

রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস॥

প্রতি বছর এখানে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ লাখ মানুষ সমবেত হোন। এটাকে আপনি একটি এলাহি কারবার বলতে পারেন। হযরত শাহ্সূফী খাজাবাবা ফরিদপুরীর চার দিনব্যাপী ওরস হয়ে থাকে এখানে। বলছিলাম-ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আটরশি নামে পরিচিত বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের কথা। যেখানে প্রতিবছর ওরস উপলক্ষে দরবারের ৪০ থেকে ৪২ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে মূল ভেন্যুতে অসংখ্য স্থাপনা ও সামিয়ানা, সুউচ্চ সুসজ্জিত তোরণ নির্মাণ করা হয়। বিশয়টি অনেকটা অবাক করার মতোই। তো এতো বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য যারা খেদমতে নিয়োজিত থাকেন, তাদের কথা একটু বলি।
এখানে ৬০ লাখ ভক্তের সেবায় নিয়োজিত থাকেন ৬০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী। এরা সবাই বছরের পর বছর এই কাজ করে করে অভিজ্ঞ হয়ে গেছেন। এখানে বিশাল মাঠে দলে দলে একসাথে ৬০ হাজার মানুষ খাবার খেতে পারেন। খাবারের মেনুতে থাকে- ভাত মাংস, ডাল ও সবজি। এসবের যোগান দেয় ভক্তরা নিজেই- এমনটাই জানালেন মাজারের এক খাদেম। এই বিশাল কর্মযজ্ঞের শুধুমাত্র তরকারি রান্নার কাজেই নিয়োজিত থাকেন ১২ হাজার ৫০০ জন মানুষ। চারদিন ব্যাপী ২৪ ঘন্টা চলে ২০০ টি হাড়িতে এই রান্না ও খাবারের কাজ। মাটির পাত্রে খাবার পরিবেশন করা হয় ভক্তদের মাঝে। শতশত চুলায় রান্না করা হয় ভাত ও তরকারি। বড় সাইজের বালতি ভর্তি ডাল, মাটিতে ছাটাইয়ের উপর বাঁশের ঝুড়িতে করে এনে রাখা হয় ভাত। বড় বড় ডেকচিতে তরকারি। রান্না আলাদা, খাবার প্রক্রিয়া আলাদা, পরিবেশন ও অন্যান্য প্রতিটি কাজই আলাদাভাবে সম্পন্ন করা হয়। পুরো ব্যাপারটির জন্য আলাদা আলাদা স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন, যারা মনের আনন্দে এই কাজটি সম্পন্ন করে থাকেন।

 

About The Author


Spread the love

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours