ব্যতিক্রম স্থাপত্যশৈলীতে চীনের প্রাচীন এই মসজিদ

Estimated read time 1 min read

ডেস্ক নিউজ॥

প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবসা-বাণিজ্যের উৎকৃষ্ট জায়গা ছিল চীন। ব্যবসা ও ধর্ম প্রচারের জন্য সপ্তম শতকের দ্বিতীয় দশক থেকে দেশটিতে মুসলিমদের আনাগোনা শুরু হয়। পরে তাদের একটি অংশ সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে, চীনাদের বিয়ে করে। চীনে মুসলিম ইতিহাসের স্মারক হয়ে আছে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে স্থাপিত বেশ কয়েকটি মসজিদ।

চীনের পেইচিংয়ের কাউ স্ট্রিটে অবস্থিত মসজিদকে বলা হয় চীনের সবচেয়ে পুরনো এবং গুরুত্বপূর্ণ মসজিদ। মসজিদটি প্রথম নির্মিত হয় ৯৯৬ সালে। বর্তমানে ৬ হাজার স্কয়ার মিটার বা দেড় একর জায়গাজুড়ে এর অবস্থান। মসজিদের বাইরের গঠন দেখতে চাইনিজ স্থাপনার মতো হলেও এটি দেখতে বেশ অদ্ভুত এবং বেশ প্রাচীন মনে হয়।

তবে, ভবনের ভেতরটা দেখতে আরব্য ঘরানার। আরব্য এবং চীনা নির্মাণশৈলীর মিশ্রণে নির্মিত মসজিদটি দেখতেও বেশ আকর্ষণীয়। ইতিহাস থেকে জানা যায়, কাউ স্ট্রিটের এই মসজিদটি লিয়াও সাম্রাজ্য ১১২৫সালের আগে বা শাসন চলাকালীন প্রথম নির্মিত হয়। ত্রয়োদশ শতকে মঙ্গোলীয়রা পেইচিং জয় করার পর মসজিদটি ভেঙে দেয়।

পরে ১৪৪২ সালে এটি পুনরায় স্থাপন করা হয়। বর্তমানে যে মসজিদ ভবন রয়েছে সেটির জায়গা বৃদ্ধি করা হয় সম্রাট কাংশির সময়ে। এরপর ১৯৫৫ ও ১৯৭৯ এবং ১৯৯৬ সালে মসজিদটি তিনবার সংস্কার করা হয়। সম্প্রতি আরও একবার আড়াই লাখ ডলার ব্যয়ে মসজিদের সংস্কার করা হয়েছে।

মসজিদের প্রধান ভবনগুলোর নাম হলো- মুসলিম হল, মুন হাউজ, মিনার বিল্ডিং, ট্যাবলেট প্যাভিলিয়ন এবং বাথরুম। মসজিদটি মক্কামুখী। আকর্ষণীয় গঠন এবং কিছুটা ব্যতিক্রম হওয়ায় এই মসজিদ দেখতে অনেক দর্শনার্থী আসেন। তবে দর্শনার্থীরা শুধু মসজিদের আশপাশের এলাকা আর বারান্দা, গলিতে ঘুরে বেড়াতে পারেন।

নামাজের জন্য মূল ঘরে প্রবেশাধিকার শুধু মুসলমানদের। স্থাপত্যশৈলী আর রঙের মিশ্রণের জন্য মসজিদটি অন্য সব মসজিদ থেকে একদম আলাদা। মসজিদের গায়ে আরব্য অনেক চিহ্ন তো আছেই, ছাদে আছে ড্রাগন আকৃতির স্তম্ভ। পবিত্রতার প্রতীক বলে মেঝের রঙের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে সাদা রংকে।

মসজিদের ছাদ আর নকশায় যুক্ত করা হয়েছে চাইনিজ নকশা। অসংখ্য রঙের সমাহার এই নকশাগুলো। মূলত প্রতিটি রঙে চাইনিজদের পছন্দকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি দেয়াল রং করা হয়েছে উজ্জ্বল লালে এবং স্তম্ভগুলোতে দেওয়া হয়েছে সবুজ রং। কিছু স্তম্ভের মাঝে লেখা আছে ‘হ্যাপি ডোর’। এ

টি দেখতে মূলত প্রবেশমুখের (তোরণ) মতো। এই প্রবেশমুখগুলো আবার আরব্য শৈলীতে নির্মিত।

 

 

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours