স্টাফ রিপোর্টার॥
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যসহ ৩৮ নারী-পুরুষকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) রাতে তাদের আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
আটকরা হলেন নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম, একই ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আরজু মিয়া, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, মনির হোসেন (৪০), মজিবুর রহমান (৫২), বেদন মিয়া (৪১), মো. কামাল খা মেম্বার (৩৮), সফিকুল ইসলাম (৬০), হোসেন মিয়া (৪৫), নুরুল ইসলাম (৬৭), ইব্রাহীম মিয়া (৪০) বাদল মিয়া (৫১) মহিউদ্দিন মিয়া (৫১), বাছির মিয়া (৫০), মনিরুল ইসলাম (৪৬), তাজু মিয়া (৬০), কুদ্দুছ মেম্বার (৫৮), ইদন মিয়া (৫০), সিরাজ মিয়া (৬৫), হায়ের আলী (৬০), মো. শামীম (৩৮), আম্বিয়া খাতুন (৩৫), আসমা (৩২), ববি বেগম (৩৪), শিক্ষা বেগম (১৯), লাভলী বেগম (৩০), রেখা আক্তার (৩০), রীমা বেগম (২৫), পারুল বেগম (৪৫), পারভীন বেগম (৩৫), নাদিয়া আকার (২৮), সাফিয়া খাতুন (৭০), নাহিয়া ইসলাম অন্তু (১৯), সেলিনা বেগম (৬৩), রেবেদা সুলতানা (৪৩), রিমা বেগম (২৫) ও আজিম মুনসুর (১৯)।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়ে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চলে। সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা পশ্চিম পাড়ায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অর্ধশতাধিক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খানিবাড়ি ও সিরাজ আলী বাড়ির গোষ্ঠী, এবং দোলা বাড়ি গোষ্ঠী একটি গ্রুপ। এই দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
কিছুদিন আগে আরজু মেম্বারের গ্রুপের আব্দুল হামিদের ছেলেকে মারধোর করে খানি বাড়ির ছেলেরা। রোববার আবার মারধোর করা হয় আব্দুল হামিদকে। এ ঘটনায় উত্তেজনা তৈরি হলে সদর মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা সেখানে যান। সোমবার সকালে ঘটনাটি থানায় মীমাংসার জন্য শালিস ডাকা হয়। এরপর সকালে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৮ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
+ There are no comments
Add yours