ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে চায়না-থ্রি জাতের কমলা চাষে সিজনে আয় ১২-১৫ লাখ

Estimated read time 1 min read
Spread the love

অনলাইন ডেস্ক॥

প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে চায়না-থ্রি-জাতের কমলার আবাদ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার  দুলালপুর গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর ভূঁইয়া। তার উৎপাদিত এই কমলা চীনসহ অন্য যে কোনো দেশ থেকে আমদানি করা কমলার মতোই সু-স্বাদু বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এই কমলার বাগান দেখতে জেলা শহর থেকে বিভিন্ন মাধ্যমে করে প্রতিদিনই ছুটে যাচ্ছেন লোকজন। জানা যায়, দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে দেশে ফিরে মাত্র দুই বিঘা জমি ১৬ বছরের জন্য বর্গা নেন আলমগীর। ইউটিউব দেখে চায়না কমলা-থ্রি জাতের চাষ শুরু করেন তিনি। তিন বছর আগে ১৮০টি চায়না কমলার চারা রোপণের পর সফলতার স্বপ্ন দেখা শুরু করেন তিনি। চারা লাগানোর পর অধিকাংশ লোক তাকে নিরুৎসাহিত করেন। তারার বলেন এদেশে চায়না কমলা হবে না। তাতেও হাল ছাড়েননি আলমগীর। মাত্র ৪ লাখ টাকা নিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে শুরু করেন চাষাবাদ। এখন সবুজ পাতার ফাঁকে-ফাঁকে ঝুলছে নজরকাড়া ছোট-ছোট হলুদ রঙের চায়না কমলা। তিনি নতুন করে আরও ৪০০ চারা রোপণ করেছেন। এই বছর ৯ থেকে ১০ টন কমলার ফলন আসা করছেন তিনি।

যা ১২ লাখ টাকার মতো বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। এরই মধ্যে অনেক ফলেই পাকা রঙ ধরেছে। ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। আলমগীর ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে জানান, তিনি ইউটিউব দেখে ২ বিঘা জমি ১৬ বছরের জন্য বর্গা নিয়ে চায়না কমলা চাষ শুরু করেন। এই বছর যে পরিমাণ ফলন এসেছে তাতে তিনি আশা করছেন, এবার তার বাগান থেকে অন্তত ১২-১৫ লাখ টাকার মতো কমলা বিক্রি করতে পারবেন। তিনি আরও জানান, এবছর ভালো ফলন আসায়, ৩ বিঘা জমিতে নতুন করে আরও ৪০০ চারা রোপণ করেছেন এই কৃষক।  বিজয়নগর উপজেলা কৃষি আিফস গণমাধ্যমকে জানান, কৃষি বিভাগের পরামর্শে আলমগীর এখন বেশ সফল। গতবছরের তুলনায় এবার তিনগুণ বেশি ফলন এসেছে। তিনি একজন সফল এবং সাহসী উদ্যোক্তা। নতুন করে আরও একটি বাগান করা হয়েছে।

 

About The Author


Spread the love

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours