স্টাফ রিপোর্টার॥
ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্স ও মিডওয়াইফদের ইন্টার্ন ভাতা প্রদানের দাবিতে আজ ০১ অক্টোবর রোববার কর্মবিরতি, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্মরত ইন্টার্ন নার্সরা। রোববার সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্স এবং মিডওয়াইফরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে তাদের এই কর্মসূচী পালন করে। মানববন্ধন শেষে তারা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করে। মানববন্ধনে নার্সিং ইনস্টিটিউট,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রথম, ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরাও একাত্মতা প্রকাশ করে কর্মসূচীতে অংশ নেন।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা ইন্টার্ন নার্সেস এসোসিয়েশনের (বিডিআইএন) কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মসূচী অনুযায়ী সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত ইন্টার্ন নার্সরা একযোগে এই কর্মবিরতি, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পালন করে।
নার্সিং ইনস্টিটিউট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আহবায়ক কমিটির সহ-সভাপতি রবিন সরকারের সভাপতিত্বে ও কমিটির সভাপতি সভাপতি অপু আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তানজিলা আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সামিয়া আক্তার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইভান খান, প্রবর্তনা সম্পাদক আফসানা আক্তার ও সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক আকলিমা আক্তার।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা নার্সিং ইনস্টিটিউট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স এন্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্স পাস করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ইন্টার্ন নার্স হিসেবে কর্মরত আছি।
বাংলাদেশ নার্সিং এন্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিল (বিএনএমসি) প্রদত্ত লগবুকের ১৪ পৃষ্ঠায় কোড অব কন্টাক্ট এন্ড রেগুলেশন এর ১ নম্বর পয়েন্ট অনুযায়ী ইন্টার্ন ভাতা প্রদানের কথা উল্লেখ থাকলেও আমরা ইন্টার্ন চলাকালীন কোনো ভাতা পাচ্ছি না।
আমরা আমাদের দাবির বিষয়ে বিএনএমসি এবং নার্সিং এন্ড মিডওয়াফারি অধিদপ্তরের (ডিজিএনএম) কাছে দরখাস্ত দিলেও ইন্টার্নভাতা নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানে কোন সমাধান পাচ্ছি না। তারা বলেন, বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীরা নার্সিং পড়ছেন। তিন বছরের কোর্স শেষে তাঁরা রাত দিন ২৪ঘন্টা হাসপাতালে রোগীর সেবায় নিয়োজিত থাকেন।
তারা বলেন, প্রতিমাসে আমরা ছয় থেকে আট হাজার টাকা করে ইন্টার্ন ভাতা পাওয়ার কথা। এই নায্য পাওনা আদায়ের দাবিতেই আমরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেছি। ইন্টার্ন বিষয়ে কোনো সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
+ There are no comments
Add yours