অনলাইন ডেস্ক:
স্ত্রী তার স্বামীর কাছে এখন আর বহুল আবেগতাড়িত কোন চিঠি লিখেনা। মা তার সন্তানের কাছে অথবা সন্তান তার মায়ের কাছে চিঠি লিখে না। চিঠি লিখেনা কোনো তরুণ কিংবা তরুণী। মনের কথা প্রকাশের বিকল্প বিভিন্ন মাধ্যম গড়ে উঠায় যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে বহু ব্যবহৃত ও প্রচলিত চিঠি লেখার প্রচলন এখন আর নেই বললেই চলে। তবে এর সাথে সাথে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে রাখা সেই ডাক বাক্সের গুরুত্ব ও প্রয়োজন ফুরিয়ে গেছে। আর এজন্যই মানুষ তার প্রিয়জনের কাছে চিঠি লিখে ডাক বাক্সে দিয়ে আসেন না। বর্তমান সময়ের মানুষরা তার প্রিয় জনের কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় তথ্য আদান প্রদানের সব দরকারি কাজ সেরে নেন। আর তাই পাড়া মহল্লায় বা গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমুহে চোখে পড়েনা কোনো ডাকবাক্স।
বর্তমান সময়ে এবং বর্তমান প্রজন্মের কাছে ডাক বাক্স যেন এক সুদুর অতীত বা রূপকথার গল্পের মতোই। এক সময়ের ডাক বাক্সের কদর আর আগের মত নেই। ডাক বাক্সে চিঠি ফেলে দিয়ে কবে তার প্রিয়জন সেই চিঠি পাবেন এই অপেক্ষা এখন আর কেউ করেন না। হয়তো দেখা যাবে এখনের তরুণ তরুণীরা ডাক বাক্স চিনবেই না!
মোবাইল ফোন কিংবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রিয়জনের কাছে দ্রুত ভাব বিনিময় করা যায় সত্য, কিন্তু প্রকৃত অর্থে লিখনির মাধ্যমে মানুষ যেভাবে আবেগতাড়িত হয়ে তার মনের কথা, ভালবাসার কথা, প্রকাশ করতো-ওই বিষয়টা তি তেমনভাবে আবেগতাড়িত করে? প্রিয়জনের কাছ থেকে হাতে পাওয়া সেই চিঠির জন্য অপেক্ষার প্রতিটি প্রহর কি যে মধুর এই আবেগতাড়িত কথাটি কেবলমাত্র তখনকার প্রিয়জনরাই মনেপ্রাণে অনুভব করতে পারবেন। সময় পাল্টে গেছে আধুনিকতার ছোঁয়ায় আমাদের মন মানসিকতাও বদলে গেছে। সময় নষ্ট করে আর কেউ যেমন চিঠি লেখেন না,তেমনি চিঠি অনেক দেরি করে প্রিয়জনের হাতে পৌঁছে যাক এটাও কেউ চায় না।
আর এভাবেই কালের গর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে প্রিয়জনের কাছে হাতে লিখা চিঠি আর জৌলুস ছড়ানো ডাক বাক্সের কদর। এখন ডাক বাক্সে সরকারি চিঠি পত্র ছাড়া আর কোন চিঠিই পাওয়া যায় না।
+ There are no comments
Add yours