অনলাইন ডেস্ক॥
মানুষ কঠিন বিপদে পড়ে অনেক সময় ধৈর্যশক্তি হারিয়ে ফেলে। অথচ আল্লাহ মানুষের মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য নানাভাবে পরীক্ষা করেন। আস্থা ও বিশ্বাসের স্তর অনুসারে মানুষ বিপদে পড়ে। ইরশাদ হয়েছে, ‘মানুষ কি মনে করে যে আমরা ঈমান এনেছি বললেই তাদের পরীক্ষা না করে ছেড়ে দেওয়া হবে।
আমি তাদের আগে অনেককে পরীক্ষা করেছি, আল্লাহ জানাবেন কারা সত্য বলেছে এবং তিনি জানাবেন কারা মিথ্যাবাদী।’(সুরা : আনকাবুত, আয়াত : ৩)
আল্লাহর সবচেয়ে আস্থাভাজন হিসেবে নবী-রাসুলরা নানাভাবে পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘আপনার আগে অনেক রাসুলকে মিথ্যারোপ করা হয়েছে, মিথ্যা প্রতিপন্ন করার পরও তারা ধৈর্য ধারণ করেছে, তাদের কষ্ট দেওয়া হয়েছে, অবশেষে তাদের কাছে আমার সাহায্য এসেছিল, আমার নির্দেশনার কোনো পরিবর্তনকারী নেই, আপনার কাছে রাসুলদের সংবাদ এসেছে।’
(সুরা : আনআম, আয়াত : ৩৪)
আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করার ক্ষেত্রে কিছু নীতিমালা অনুসরণ করেন।
জুলুমের পরিণতি : আল্লাহর পরীক্ষার আরেকটি বিশেষত্ব হলো, বিপদ-আপদ যতই কঠিন হোক, মুমিনরা সফলকাম হবে এবং জালিমরা অপদস্থ হবে। শেষ পর্যন্ত কাফির ও অপরাধীরা নিজেদের অন্যায় আচরণের শাস্তি ভোগ করবে। আল্লাহ বলেন, ‘তাদের আগে মিথ্যারোপ করেছি তাদের কাছে এমনভাবে আজাব এসেছিল যে তারা তা উপলব্ধি করতে পারেনি। আমি তাদের দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা উপভোগ করাব এবং আখিরাতের শাস্তি আরো বড়, যদি তারা তা জানত।’
(সুরা : জুমার, আয়াত : ২৬)
শাস্তিদানে ধীরগতি : সাধারণত আল্লাহ কাউকে শাস্তি দিতে চাইলে তাকে অবকাশ দেন এবং কালবিলম্ব করেন।
পবিত্র কোরআনে এ বিষয়ে বিবরণ রয়েছে
সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি : বিপদে ধৈর্য ধারণ করলে মর্যাদা বৃদ্ধি পায়। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো বান্দার জন্য যখন এমন কোনো অবস্থান নির্ধারিত হয়, যেখানে সে নিজ আমল দিয়ে পৌঁছতে পারে না; তখন আল্লাহ তাকে তার শরীর বা সম্পদ বা সন্তান-সন্ততির মাধ্যমে পরীক্ষা করেন। অতঃপর সেই ব্যক্তি ধৈর্য ধারণ করে সেই অবস্থানে পৌঁছে, যা আল্লাহ তার জন্য নির্ধারণ করে রেখেছিলেন।
(আবু দাউদ, হাদিস : ৩০৯০)
+ There are no comments
Add yours