মৃত সাগর মরে যাচ্ছে!

Estimated read time 1 min read
Spread the love

অনলাইন ডেস্ক :

ইসরায়েল, জর্ডান ও পশ্চিম তীর লাগোয়া ডেড সি বা মৃত সাগরের পানি সাধারণ সাগরের পানির তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি লবণাক্ত। দিন দিন এই লেকের পানি কমছে। নামে সাগর হলেও এটি আসলে একটি লেক। ইসরায়েল, জর্ডান ও পশ্চিম তীর লাগোয়া মৃত সাগরের পানি সাধারণ সাগরের পানির তুলনায় প্রায় ১০ গুণ বেশি লবণাক্ত। লবণের পরিমাণ বেশি হওয়ায় মৃত সাগরে মানুষ ডোবে না, ভেসে থাকে। এই আকর্ষণের কারণে ইসরায়েল ও জর্ডানে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠেছে। ১৯৬০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত মৃত সাগরের আয়তন এক-তৃতীয়াংশ কমেছে।

লেকের পানি বছরে প্রায় এক মিটার করে সরছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলে এসব তথ্য জানিয়ে একটি প্রতিবেদন করেছে। ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়- কৃষিকাজে ব্যবহার ও খাবার পানি পেতে ইসরায়েল ও জর্ডান মৃত সাগর থেকে পানি নিয়ে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন কেমিক্যাল প্ল্যান্ট ডেড সি থেকে খনিজ সংগ্রহ করছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেও পানি বাষ্প হয়ে উবে যাচ্ছে। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে ডেড সি তীরে অবস্থিত ইসরায়েলের সডোম এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস- যা ৭০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। পানি সরে যাওয়ার পর যে ভূমি থাকে তার নীচে লবণ জমা আছে। বন্যার পানি গড়িয়ে সেই জমিতে গিয়ে মাটির নীচে থাকা লবণ একসময় গলিয়ে ফেলে।

এভাবে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়, যাকে বলে সিঙ্কহোল। এমন গর্ত যে-কোনো সময় তৈরি হতে পারে। তাই ওই এলাকায় যাওয়া বিপজ্জনক। ডেড সির আশেপাশে এমন কয়েক হাজার সিঙ্কহোল তৈরি হয়েছে। একেকটি সিঙ্কহোল ১০ মিটার পর্যন্ত গভীর হতে পারে। সিঙ্কহোল তৈরির সম্ভাবনা থাকায় লেক তীরবর্তী এলাকা বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। সে কারণে একসময় পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত ইসরায়েলের এইন গেডির এই হলিডে ভিলেজ এখন পরিত্যক্ত।

About The Author


Spread the love

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours