অনলাইন ডেস্ক॥
চাঁদপুরের ইলিশ, রুই, কাতলা, বোয়াল, বাইম, শিং, মাগুর, চিংড়ি, কই, পাবদা, টেংরাসহ প্রায় ৭০ থেকে ৮০ প্রজাতির দেশিয় মাছ বিক্রি হয় এ বাজারে। শুধুমাত্র মাছকে ঘিরেই সন্ধ্যার পর কয়েক ঘণ্টার বাজার। অপরদিকে সামুদ্রিক মাছ চাপিলা, লইট্যা, সুরমা, কোরাল, টুনা, রূপচাঁদা, বাটা, বাইলা ও চিংড়ি, কাঁকড়াও বিক্রি হয় এখানে।
বলছিলাম কুমিল্লার শতবছরের ঐতিহ্যবাহী হাট পদুয়ার বাজারের কথা। কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের সংযোগস্থল ও কুমিল্লা শহরের প্রবেশপথে বাজারটি প্রায় দুই কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থিত।
স্থানীয়রা জানান, এ বাজারে সবচেয়ে বেশি মাছ কিনতে আসেন কুমিল্লার শহরের মানুষ। এছাড়া জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে সৌখিন ক্রেতারা মাছ কিনতে আসেন। সড়কের পাশে গাড়ি রেখে মাছ কিনেন অনেকে। বিয়ে, জন্মদিনসহ বড় অনুষ্ঠান, কমিউনিটি সেন্টার ও জেলার অভিজাত রেস্তোরাঁগুলো পাইকারিতে মাছ সংগ্রহ করেন এ বাজার থেকে।
সপ্তাহে দুইদিন রোববার ও বৃহস্পতিবার হাঁট বসে। বিকাল ৫ টায় বাজারটি শুরু হয়- বিক্রি চলে রাত ১১টা পর্যন্ত। এই কয়েক ঘণ্টায় বিক্রি হয় প্রায় ২ কোটি টাকার মাছ। উৎসব পার্বনে থাকলে বিক্রির পরিমাণ তিন থেকে চার কোটি টাকাও ছাড়িয়ে যায় বলে বাজার সূত্রে জানা যায়।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মাছ বিক্রেতারা এসে মাছের হাট বসান। তবে অধিকাংশ মাছ আসে চাঁদপুর ও ফেনী নদী থেকে। এছাড়া সামুদ্রিক মাছের বেশিরভাগ সংগ্রহ করা হয় চট্টগ্রাম থেকে। কিছুসংখ্যক মাছ আসে কক্সবাজার থেকে।
ব্যবসায়ীদের সূত্র জানায়, এখানে প্রতিদিন তিনশ’র বেশি দোকান বসে। দৈনিক ১২০-১৩০ মেট্রিক টন মাছ বিক্রি হয় পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে। যার বাজার মূল্য কয়েক কোটি টাকা।
এদিকে মাছ বিক্রেতাদের মধ্যে বেশিরভাগের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি ও চাঁদপুরের শাহরাস্তি, ফেনী নোয়াখালী ও কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা, ঢাকার কারওয়ান বাজারের মৌসুমী ব্যবসায়ী, পদুয়ার বাজারের নিকটবর্তী অঞ্চল, বৃহত্তর কুমিল্লার বেশিরভাগ উপজেলার মাছ ব্যবসায়ীরা মাছ বিক্রি করতে আসেন এ বাজারে।
+ There are no comments
Add yours