ডেস্ক নিউজ॥
আবাবিল পাখি চাঁদে যায়- এমন কথা কি কখনো শুনেছেন? একসময় ধারণা করা হতো শীতকালে আবাবিল পাখি চাঁদে যায়। আবার অনেকেই মনে করতেন শীত এলে নদীর তলদেশে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে এই পাখিরা। আবাবিল পাখি নিয়ে গ্রিক এমনকি রোমান পুরাণেও বহু কাহিনি পাওয়া যায়।
৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ঘটনা। মক্কার পার্শ্ববর্তী ইয়েমেনের শাসক আবরাহা। ঐতিহাসিকদের মতে, ৯ থেকে ১৩টি বড় বড় হাতি নিয়ে পবিত্র কাবা শরীফের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে তার সৈন্যদল। কিন্তু কিছুদূর গিয়ে হাতিগুলোও আর অগ্রসর হতে চায় না। সুচতুর আবরাহা হাতিগুলোকে খাবারের লোভ দেখান। খাবার দেখে সেগুলো আবারও সামনে এগুতে শুরু করে। কিন্তু হঠাৎ করেই আবরাহার সেনারা থামতে বাধ্য হয়। তাদের উপর বৃষ্টির মতো নুড়ি পাথরের ঢিল এসে পড়তে থাকে।
দেখা যায় ঝাঁকে ঝাঁকে পাখিতে আকাশ ছেয়ে গেছে। তারাই ছুড়ছে এসব ঢিল পাখি। এভাবেই সৃষ্টির বৃহদাকার প্রাণীর পথ আটকে দেয় আকারে ক্ষুদ্র এক পাখি। কুরআন শরীফের সূরা ফিলে এই পাখির কথা উল্লেখ আছে। এই পাখিটির নাম আবাবিল। বড়ই রহস্যময় এক পাখি এই আবাবিল।
একসময় পশ্চিমাদের ধারণা ছিল শীতকালে আবাবিল পাখি চাঁদে যায়। অনেকে ভাবত শীত এলে তারা নদীর তলদেশে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। আবাবিল নিয়ে গ্রিক এমনকি রোমান পুরাকথাতেও বহু কাহিনি পাওয়া যায়। আবাবিলের ইংরেজি নাম সোয়ালো।
ইউরোপে পাখিটি বার্ন সোয়ালো বা গোলাঘরের পাখি হিসেবেও পরিচিত। প্রজাতি অনুযায়ী এদের আচরণে পার্থক্য দেখা যায়। সাধারণভাবে এরা জলাভূমির কাছাকাছি থাকতে ভালোবাসে। এছাড়া ইউরোপ ও আমেরিকার পাখিগুলো পরিযায়ী। শীত পড়লে এরা দীর্ঘপথ পাড়ি দিয়ে উষ্ণ অঞ্চলে আসে। তবে পশ্চিম ও দক্ষিণ আফ্রিকার মতো উষ্ণ অঞ্চলের আবাবিলরা জন্মস্থানেই কাটিয়ে দেয়।
১৬৮০ সালের দিকে ইংরেজি শিক্ষাবিদ চার্লস মর্টন দাবি করেন- শীতকালে আবাবিল পাখি চাঁদে যায়। শীতকালে আবাবিলদের দেখা যায় না, তা সকলেই জানত। কিন্তু সে সময় তারা কোথায় যায় এ বিষয়ে কারও কোনো ধারণা ছিল না। মর্টন পাখিদের অনেক অনুসন্ধান করেও খোঁজ না পেয়ে এই তত্ত্ব দেন।
তিনি ধারণা করেন পাখিরা এমন জায়গায় যায় যেখানে তাদের খুঁজে পাওয়ার সাধ্য মানুষের নেই। এমন ধারণা থেকেই তিনি পাখিদের চাঁদে যাওয়ার তত্ত্ব দেন।
+ There are no comments
Add yours