অনলাইন ডেস্ক॥
প্রায় ২০০ বছর আগে রায়পুরের ঐতিহাসিক জিনের মসজিদ স্থাপিত হয়। লক্ষ্মীপুর জেলাধীন রায়পুর উপজেলা একসময় ছিল জনমানবহীন বিশাল চরাঞ্চল।
অতি স্বল্প সময়ে বিশেষ ডিজাইনের এ মসজিদটি নির্মাণের ফলে এটিকে জিনের মসজিদ বলা হয়। এত কম সময়ে সামনে বিশাল দিঘি ও পাশে আরেকটি দিঘি কাটা, ইট তৈরি করা একদমই সাধ্যের অতীত ছিল। মসজিদটি নিয়ে জনশ্রুতি রয়েছে ‘অসংখ্য জিন রাতের আঁধারে মসজিদটি নির্মাণ করেছে।
নির্মাণের পর ক’বছর জিনেরা ওই মসজিদে ইবাদতও করেছে। গভীর রাতে তাদের জিকিরের আওয়াজ ভেসে আসত। বলা হতো, মসজিদটি তৈরিতে টাকার জোগান দিয়েছে জিন।’ নির্জন পরিবেশে সেখানে বসে আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন থাকতেন মৌলভী আবদুল্লাহ।
কথিত আছে, মৌলভী আবদুল্লাহর কিছু জিন শিষ্য রাতে মসজিদটির গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করত। তাই এই ঐতিহাসিক মসজিদটি জিনের মসজিদ নামে ব্যাপক পরিচিত। ঐতিহাসিক এই মসজিদটি রায়পুর পৌর শহরের পীর ফয়েজ উল্লাহ সড়কের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত।
দিল্লির শাহী জামে মসজিদের নকশায় নির্মিত মসজিদটি ১১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৭০ ফুট প্রস্থবিশিষ্ট এবং মাটি থেকে ১০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। এর ভিটির উচ্চতা ১৫ ফুট, যা ১৩ ধাপ সিঁড়িযুক্ত। এর দেয়ালের প্রস্থ ৮ ফুট।
মসজিদের সম্মুখের মিনারটি ২৫ ফুট উচ্চতার তিন গম্বুজবিশিষ্ট। সু-উচ্চ প্রাচীরবিশিষ্ট এই মসজিদটির নিচে দক্ষিণাংশে একটি বিরাট প্রকোষ্ঠ রয়েছে; যেটি সব সময় কালো পানিতে পূর্ণ থাকে।
মসজিদটির তলদেশে ২০ ফুট নিচে রয়েছে তিন কামরাবিশিষ্ট একটি গোপন ইবাদতখানা, যেখানে বসে ধ্যানে মগ্ন থাকতেন এর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুল্লাহ।
+ There are no comments
Add yours