রুদ্র মোহম্মাদ ইদ্রিস এবং ইমতিয়াজ আহমেদ :
রাঙামাটি জেলার নামটি চোখের সামনে ভেসে আসলেই যে মনোহারি হৃদয়কাড়া নয়নাভিরাম জায়গাটি সবার সামনে আমাদের চোখে ভেসে উঠে- সেটি হলো রাঙামাটির ঝুলন্ত সেতু। এই জুলন্ত সেতুটি দেখতে প্রতিদিন দেশ ও বিদেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করেন। তথ্য বাতায়ন ঘুরে জানা যায়- রাঙ্গামাটি শহরের শেষপ্রান্তে কর্ণফুলী হ্রদের কোল ঘেঁষে ১৯৮৬ খ্রিস্টাব্দে গড়ে উঠেছে ‘পর্যটন হোলিডে কমপ্লেক্স’। এখানে রয়েছে মনোরম ‘পর্যটন মোটেল’। উল্লেখ্য, পর্যটন মোটেল এলাকা ‘ডিয়ার পার্ক’ নামেই সমধিক পরিচিত। মোটেল এলাকা থেকে দৃশ্যমান হ্রদের বিস্তীর্ণ জলরাশি আর দূরের নীল উঁচু-নীচু পাহাড়ের সারি এখানে তৈরি করেছে এক নৈসর্গিক আবহ। নাগরিক জীবনের শত ব্যস্ততা কাটিয়ে আপনি যদি কখনো সেখানে যান- তাহলে আপনার কাছে মনে হবে- আপনি কেনো এতোদিন প্রকৃতি থেকে দূরে ছিলেন। দারুণ মিস করবেন নিজেকে। কারণ এখানে প্রকৃতি আপনাকে এতোটাই আপন করে নিবে যে, আপনিও হয়ে উঠবেন প্রকৃতিরই একটা অংশ।
মজার ব্যাপার হলো এখানেই রয়েছে ৩৩৫ ফুট দীর্ঘ মনোহরা ঐতিহাসিক সেই ঝুলন্ত সেতু – যা কমপ্লেক্সের গুরুত্ব ও আকর্ষণ বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই সেতু ইতোমধ্যে ‘সিম্বল অব রাঙ্গামাটি’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। সমগ্র বাংলাদেশ রাঙামাটি বলতেই বোঝে এই ঝুরন্ত সেতু। এছাড়া এখানে রয়েছে অডিটোরিয়াম, পার্ক, পিকনিক স্পট, স্পীড বোট ও দেশীয় নৌ-যান। আপনি চাইলেই বিনোদনের মাত্রা বাড়াতে নৌকায় কিংবা স্পিড বোটে করে হ্রদে ঘুরতে পারেন। কাপ্তাই হ্রদের সৌন্দর্যে আপনি অবশ্যই মুগ্ধ হবেন। চারপাশে রয়েছে আদিবাসী গ্রাম। রয়েছে আদিবাসী নানা বর্ণের মানুষ। আপনার ভেতর তখন অন্য এক সৌন্দর্যবোধ কাজ করবে। জীবনকে আপনি অন্যভাবে উপভোগের সুযোগ পাবেন এখানে। এটি দেখতে আপনাকে পাঁচ টাকা ফি পরিশোধ করতে হবে পর্যটন করপোরেশনকে। শেষ কথা রাঙামাটির সেই ঝুরন্ত সেতু শুধু বাংলাদেশের নয় বিশ^বাসীর পর্যটকদের আকর্ষণীয় এক পর্যটন কেন্দ্র।
+ There are no comments
Add yours