রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস॥
চোখের জলে অকেটা হঠাৎ করেই বিদায় নিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজনীতিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে আসা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার।
সোমবার (০২ অক্টোবর) বাদ আছর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে নামাজে জানাজা ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা শেষে শহরের শেরপুর কবরস্থানে তার দাফন কার্য সম্পন্ন করা হয়।
এসময় তাঁর জানাজায় অংশ নেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ হোসেন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুল হক, বিমান প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন অবসরপ্রাপ্ত এ,বি তাজুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, সাবেক এমপি এমপি এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা, নবীনগর পৌরসভার মেয়র শিব শংকর দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, দৈনিক ফ্রনটিয়ার সম্পাদক আব্দুল মালেক প্রমুখ। এছাড়াও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা ও নানা শ্রেণি পেশার মানুষ মরহুমের জানাজায় অংশগ্রহন করেন।
নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা সিবগাহতুল্লাহ নূর। এর আগে, জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম ও পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি বিচক্ষণ দল মহান মুক্তিযুদ্ধে অনবদ্য অবদান রাখা এই বীরের প্রতি রাষ্ট্রীয় সালাম জানান। এ সময় বিউগলের করুণ সুরে যেন আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। জানাজা শেষে বর্ষীয়ান এই নেতাকে চির বিদায় জানাতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে শহরের শেরপুর কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলা শহরের বাগানবাড়ি এলাকায় তার শ্বশুরবাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খোকন বলেছেন, আল মামুন সরকার দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগসহ নানা রোগে ভুগছিলেন।
+ There are no comments
Add yours