প্রতিপক্ষ প্রার্থী স্বরজন্ত করে তার নির্বাচনের ফলাফল বানচাল করেছে বলে মোরগ প্রতিকের চেম্বার পদপ্রর্থী আলহাজ্ব আবু মুছা আনসারী প্রতিবাদ সমাবেশ অভিযোগ করেন। গতকাল ৫ ডিসেম্বর ২০২১ তার বাড়িতে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি উক্ত অভিযোগ করেন। এসময় তার ওয়ার্ডের সাধারন জনগন উপস্থিত থেকে তাদের নিজ নিজ অভিমত ব্যাক্ত করেন। সমাবেশে এক লিখিত বক্তব্যে মেম্বার প্রার্থী আবু মুছা আনসারী বলেন– গত ২৮ শে নভেম্বর ২০২১ অনুষ্ঠিত ,১০ নং শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি আবু মুসা আনসারী ( মুসা মিয়া) শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার পদপ্রার্থী হিসেবে মোরগ মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। নির্বাচনে প্রিজাইডিং/ পোলিং অফিসারের যোগসাজশে আমার বৈধ মোরগ মার্কার ব্যালটসহ মোট ৫৭ টি ব্যালট কে বিভিন্ন উপায়ে বাতিল প্রদর্শন করে আমার নিকটতম প্রার্থী (রেজুয়ান আহমেদ জামাল) কে ২১ ভোটের ব্যবধান দেখিয়ে মনগড়া ফলাফল তৈরি করে, আমার আপত্তি করা সত্যেও প্রদত্ত ভোটের সংখ্যার কপিও উভয়ের হাতে ধরিয়ে দিয়ে তড়িগড়ি করে চলে আসেন। আমি বারবার প্রিজাইডিং অফিসার মোঃ আকতার হোসেনকে অনুরোধ করি ৫৭ টি ভোট বাতিলের পক্ষে এবং ব্যান্ডেলকৃত ৬৫৫/৬৭৬ভোটের ব্যালট শান্তভাবে পর্যবেক্ষণ ও যাচাই-বাছাই করতে। কিন্তু পরিশেষে আবেদন নিবেদন করে ব্যর্থ হয়ে ২৯ তারিখ সোমবার আমি রিটার্নিং অফিসার কে প্রমানসহ মৌখিক অনিয়মের ফলাফল কপি দেখিয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অবহিত করি।
৩০ শে নভেম্বর ২০২১ রোজ মঙ্গলবার আমি রিটার্নিং অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করে, অনিয়ম ও অসদুপায়ে প্রস্তুতকৃত ফলাফল বাতিলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবাধ নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণ কামনা করি। তিনি আরো বলেন, বিগত ২০১৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে উপরোক্ত (রেজুয়ান আহমেদ জামাল) অর্থবিত্তের প্রভাব খাটিয়ে অনিয়ম করে সামান্য ভোটের ব্যবধানে আমাকে পরাজিত করে। এবারও অর্থবিত্তের ব্যাপক ছড়াছড়ি করতে গিয়ে তাহার লোকজন হাতেনাতে ধরা পড়ে। নির্বাচন দিনে প্রার্থীর ভাই রিপন মিয়া ও কামাল মিয়া নির্বাচন চলাকালে বারবার নির্বাচনের কেন্দ্রে উদ্দেশ্যমুলকভাবে অবাদ বিচরণ করেছে। বাইরে প্রার্থী জামালের স্ত্রী ও বোনরা ভোটারদের জড়াজড়ি ও টাকা বিতরণ করে, এবং তাহাদেরই গোপন তৎপরতায় কোন কর্তব্যরত/ কর্মচারী কর্তৃক আমার বৈধ মোরগের ব্যালট কে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় বাতিল করে আমার নিশ্চিত বিজয় কে পরিকল্পিত ফলাফলের মাধ্যমে পরাজিত করে।
এমতাবস্থায় বাতিলকৃত ৫৭ টি ব্যালটের প্রক্রিয়া রেজাল্টসীটের মোট ভোটের গড়মিল ব্যান্ডেলকৃত ভোট পর্যবেক্ষণ সহ সমস্ত বিষয় নিবিড়ভাবে চুল ছেড়া বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আকুল আবেদন করছি। তিনি আরো বলেন,গত ৩০ নবেম্বর -২০২১ তারিখে অবগতির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুলিপি প্রদান করেছি- জেলা প্রশাসক মহোদয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ব্রাহ্মনবাড়িয়, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সরাইল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরাইল,উপজেলা চেয়ারম্যান সরাইল,ব্রাহ্মণবাড়িয়া //
+ There are no comments
Add yours