অনলাইন ডেস্ক॥
মাঠের প্রতিটি জমিতেই এখন চাষ হচ্ছে শসা, বেগুন, করলা, লাউ, ঢ্যাঁড়শসহ শীতকালীন নানা সবজি। বলছি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার ফসলি মাঠগুলোর কথা। এ অঞ্চলের মাটির গুণাগুণ বেশ ভালো হওয়ায় অপর দিকে এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শীতকালীন সবজি চাষে সাফল্য পাচ্ছেন চাষিরা। এখানকার উৎপাদিত সবজি জেলার চাহিদা মিটিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়। ফলে সবজির বাম্পার ফলে হাসি ফুটেছে কৃষকদের চোখে মুখে।
জাজিরা উপজেলা কৃষি অফিস জানায়- ‘জাজিরা এলাকার কৃষকেরা শীতকালীন সবজি চাষের মাধ্যমে সার্বিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। তাদের স্বচ্ছলতা দিন দিন বাড়ছে। পদ্মা সেতু হওয়ার পর এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তনের পাশাপাশি কৃষির ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যাতায়াতের সুবিধা হওয়ায় ফসলের ন্যায্য দাম পাচ্ছেন কৃষকরা।
চলতি মৌসুমে ২ বিঘা জমিতে করলার চাষ করেছেন কাজিরহাট এলাকার এক কৃষক। করলার বাজার মূল্য ভালো হওয়ায় অন্তত ১ লাখ টাকা লাভের আশা করছেন তিনি। ওই কৃষক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত বছর ১ বিঘা জমিতে করলা চাষ করেছিলেন। ফলন ভালো হওয়ায় এ বছর ২ বিঘা জমিতে চাষ করেছেন। এতে দেড় লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। তিনি আশা করছেন এ জমি থেকে আড়াই লাখ টাকার মতো করলা বিক্রি করতে পারবেন।’
জেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, এ অঞ্চলের জমি শীতকালীন সবজি চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় জমিতে ভালো ফলন আসতে শুরু করে। পাশাপাশি কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী মালচিং পদ্ধতি, বেড পদ্ধতি, ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ ফাঁদ, জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করে নিরাপদ সবজি উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে এসব সবজির প্রচুর চাহিদা থাকায় এবং ভালো দাম পাওয়ায় দিন দিন বাড়তে থাকে শীতকালীন সবজি চাষ। বর্তমানে জাজিরা উপজেলায় ১ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হচ্ছে শসা, করলা, বেগুন, ঢ্যাঁড়শ, লাউ, শিম ও লালশাক। যা থেকে শীত মৌসুমে উৎপাদন হবে ১ লাখ মেট্রিক টন সবজি।
স্থানীয়রা জানান- একসময় এই এলাকায় তারা অন্য ফসল করতেন। কয়েক বছর ধরে শীতকালীন সবজি চাষ করা শুরু করেছেন। প্রথম প্রথম তেমন ভালো দাম না পেলেও বর্তমানে সবজি বাজার খুবই ভালো যাচ্ছে।এখানকার সবজি ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকাররা এসে নিয়ে যান। বেশ ভালো লাভ হচ্ছে।
+ There are no comments
Add yours