সমতলের মাটিতে চালকুমড়োর বাম্পার ফলন!

Estimated read time 1 min read
Spread the love

অনলাইন ডেস্ক॥

বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সমতল ভুমির পাশাপাশি পরিত্যাক্ত ও অব্যবহৃত জমিতেও চালকুমড়োর চাষ হচ্ছে। ইটভাটার জন্য জমিয়ে রাখা মাটির টিলাতেও শোভা পাচ্ছে চালকুমড়ো। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছে মেহেরপুরের চালকুমড়ো। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবং রোগ বালাইয়ের আক্রমণ কম হওয়ায় বাম্পার ফলনও হয়েছে এবছর। এতদিন আমরা জানতাম চালকুমড়ো শুধু ঘরের চালেই হয়- মাটিতে হয়না। এই ধারণা দিনে দিনে ভুল প্রমাণিত হচ্ছে।
সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের একজন ইটভাটা শ্রমিক দেশেল শীর্ষ গণমাধ্যমকে জানান- ইট তৈরীর জন্য ভাটায় সংরক্ষণ করা মাটির টিলাতে তিনি বেশকিছু চালকুমড়োর গাছ লাগান। কোন ধরণের পরিচর্যা ছাড়াই টিলার প্রতিটি গাছে চালকুমড়োয় ভরে যায়। কুমড়োও ধরেছে প্রচুর। ২০ থেকে ২৫ টাকা করে পাইকারি দরে দুইশত মতো কুমড়ো বিক্রি হয়েছে। তিনি জানান, ৩০০ চালকুমড়ো পাকানো হয়েছে বড়ি দেবার জন্য। যার প্রতিটি প্রায় ২০০ টাকা করে বিক্রি হবে।
জেলা শহর থেকে শুরু করে প্রান্তিক জনপদের বাড়ির চালে ও জমিতে চাল কুমড়ো নজর কাড়ছে। বড়ি তৈরীর প্রধান উপকরণ এই কুমড়ো। গ্রাম-বাংলায় ঘরের চালে গাছ উঠানো হয় বলে চালকুমড়ো নামে পরিচিত। তবে জমিতে, মাচায়ও চাষ করা হয়। কচি জালি তরকারি হিসেবে এবং পরিপক্ক ফল মোরব্বা ও হালুয়া তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।
কুমড়ার বড়ি হিসেবে চালকুমড়োর ব্যবহার বেশি হলেও সবজি হিসেবে আমাদের দেশে চাল কুমড়ার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। সবুজ কঁচি চালকুমড়ো তরকারি হিসেবে খাওয়া হয়। শুধু চালকুমড়ো নয়, এর কঁচিপাতা ও ডগাশাক হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়। আর চুনের মত সাদা চাল কুমড়া দিয়ে বড়ি, মোরব্বা ও হালুয়া তৈরি করা যায়।
এখন বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মাঠে-মাঠে কুমড়োর চাষ হচ্ছে। খাদ্য উৎপাদিত বিভিন্ন কোম্পানি এখন চালকুমড়ো দিয়ে খাদ্যপণ্য উৎপাদন করছে। ফলে চালকুমড়োর চাহিদা বাড়ছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা যায়- পুষ্টিবিদদের মতে, চাল কুমড়া একটি পুষ্টিকর সবজি। এতে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, মিনারেল, শর্করা ও ফাইবার রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে- চাল কুমড়া‘য় এন্টি মাইক্রোবিয়াল এজেন্ট হিসেবে পেট এবং অন্ত্রের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ইনফেকশন বা আলসার রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে। কুমড়া পুষ্টিকর সবজি। চালকুমড়োতে বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন, আমিষ, শর্করা ও ক্যালসিয়াম আছে।
চাল কুমড়ার বড়ি ও মোরব্বা ফুসফুসের জন্য উপকারী। চাল কুমড়ার বীজ কৃমি নাশ করে থাকে এবং এর রসের সাথে চিনি মিশিয়ে খেলে অজীর্ণ রোগ ভাল হয়। প্রায় সব ধরনের মাটিতে চালকুমড়ো চাষ করা যায়। তবে চাল কুমড়া চাষের জন্য দো-আঁশ ও এটেল দো-আঁশ মাটি উত্তম।

About The Author


Spread the love

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours