অনলাইন ডেস্ক॥
এবার সমুদ্রেই হবে ভাসমান বাড়ি। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির এসব ভাসমান বাড়িতে থাকবে বিলাসী জীবনযাপনের সুব্যবস্থা। আপাতত একে কল্পবিজ্ঞান মনে হলেও তা বাস্তব করেছে পানামাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওশেন বিল্ডার্স। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রকৌশলী রুডিগার কচের চিন্তাকে ডিজাইনের মাধ্যমে বাস্তব করেছেন নেদারল্যান্ডসের নামকরা প্রকৌশলী ওয়াটারস্টুডিওর কোয়েন ওলথুইস।
বাড়িগুলোকে জনপ্রিয় সমুদ্রসৈকত এলাকার আবাসন সংকটের বিকল্প হিসেবে নকশা করা হয়েছে। সামুদ্রিক পরিবেশে বসবাসের উপযোগী ভবিষ্যৎ-চেহারার এই বাড়িগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে ‘সি-পড’। পানামার উত্তর উপকূলের লিনটন বে মেরিনা এলাকায় এসব বাড়ি নির্মিত হচ্ছে। একেকটির জন্য খরচ পড়ছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ডলার থেকে শুরু করে ১৫ লাখ ডলার।
৮৩৩ বর্গফুটের সি-পডগুলোতে আছে একটি মাস্টার বেডরুম, লিভিং রুম, রান্নাঘর ও বাথরুম। পানি থেকে সাড়ে সাত ফুট উঁচুতে একটি বাতাস চলাচল করা স্টিলের টিউবের ওপর দাঁড় করানো হচ্ছে এসব বাড়ি। রয়েছে ৫৭৫ বর্গফুটের বিস্তৃত জানালা এবং সবদিক দিয়ে সাগর দেখার সুযোগ।
বাড়িগুলোতে থাকবে স্মার্টপ্রযুক্তি, যা ব্যবহারকারীকে বিশ্বস্ত স্মার্টফোনের মতো সেবা দেবে। বাড়িগুলোর বসবাসকারীদের জন্য থাকছে স্মার্ট আংটি। এই আংটি থাকলে বাড়ির দরজা খোলা ও বন্ধ করা এবং বাড়িজুড়ে পছন্দের গান বাজানো যাবে কেবল হাতের ইশারায়! বাইরে থেকে খাবার কিংবা ওষুধ আনতে বললে এনে দেবে ড্রোন।
সি-পডের বাসিন্দা ও অতিথিদের যাতায়াতের জন্য থাকবে ডিঙ্গি নৌকা, জেট স্কি, স্থানীয় ওয়াটার ট্যাক্সি। নির্মাতারা জানিয়েছেন, আগ্রহী ক্রেতাদের জন্য আগামী সেপ্টেম্বর নাগাদ অনলাইনে সি-পডগুলোর বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে এবং পরবর্তীতে কেউ চাইলে এসে দেখেও যেতে পারবে। ২০২৩ সালের মধ্যে আপাতত নির্মিত ১০০ সি-পডে বসবাস শুরু করা যাবে।
২০২৪ সাল নাগাদ আরও ১ হাজার সি-পড নির্মাণের পরিকল্পনা আছে তাদের।
+ There are no comments
Add yours