ডেস্ক নিউজ॥
তখনই সমস্ত বিরক্তির শেষ হবে- যদি সরাসরি স্যাটেলাইট থেকে ইন্টারনেট সুবিধা পাওয়া যায়! সস্তায় দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দিতে অনেক প্রতিষ্ঠানই এগিয়ে আসছে। ক্যাবল ও মোবাইল ইন্টারনেটের পর এবার সরাসরি মহাকাশ থেকেও এই পরিসেবার উদ্যোগ নিচ্ছে বিভিন্ন কোম্পানি। এমনটাই জানা গেলো।
ভবিষ্যতে মহাকাশের উপর কে আধিপত্য কায়েম করবে? এই লক্ষ্যে পুরোদমে প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে ইতোমধ্যেই। একাধিক পুরানো ও নতুন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রেষারেষি চলছে বলেও খবর মিলছে। জানা গিয়েছে, কোটিপতি এলন মাস্ক পেপ্যাল ও টেসলার মতো কোম্পানির কল্যাণেই বিশাল ধন সম্পদের মালিক তথা ধনকুবের হয়ে উঠেছেন। ‘স্পেস-এক্স’ রকেটের মাধ্যমে তিনি বেশ কয়েক বছর ধরে মহাকাশ ব্যবসায় সক্রিয় রয়েছেন। ২০১৫ সালে মাস্ক স্যাটেলাইটের ব্যবসা শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। বিশ্বজুড়ে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে চান তিনি।
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্পেস-এক্স কিছু প্রোটোটাইপ বা নমুনা মহাকাশে পাঠিয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ১২ হাজার স্যাটেলাইটের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেই লক্ষ্য পূরণ করতে চান তিনি। অর্থাৎ বর্তমানে যত স্যাটেলাইট পৃথিবী প্রদক্ষিণ করছে, এই সংখ্যা তার প্রায় সাত গুণ!
এই লক্ষ্য পূরণে এলন মাস্ক-এর সহযোগী হচ্ছে গুগল। ২০১৫ সালে এই বহুজাতিক কোম্পানি তাঁর স্যাটেলাইট প্রকল্পে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। সান ফ্রান্সিস্কো শহরের প্ল্যানেট নামের কোম্পানিকেও মদত দিচ্ছে গুগল। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কোম্পানি এর মধ্যেই মহাকাশে প্রায় ১৫০টি স্যাটেলাইটের মালিক। আর কোনো কোম্পানির এতো বিশাল সংখ্যক স্যাটেলাইট নেই।
পৃথিবীর শহর, বনজঙ্গল, কৃষিক্ষেত্র ইত্যাদির উপর স্বয়ংক্রিয় নজরদারির পরিষেবাই এই কোম্পানির আয়ের উৎস। প্ল্যানেট কোম্পানির ক্যামেরা যে কোনো পরিবর্তন ও শনাক্ত করতে পারে। প্ল্যানেট ও স্পেস-এক্স কোম্পানির কঠিন প্রতিযোগী হলো ওয়ানওয়েব। কোম্পানির প্রধান গ্রেগ ওয়াইলার আগামী কয়েক বছরে পৃথিবীর কক্ষপথে প্রায় ৯০০ স্যাটেলাইট পাঠাতে চান। এই কোম্পানিও সস্তায় স্যাটেলাইট ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা দিতে চায়।
তাদের পৃষ্ঠপোষক হলেন স্যার রিচার্ড ব্রনসন৷ তিনি রকেটের মাধ্যমে শুধু স্যাটেলাইট নয়, মহাকাশে পর্যটকও পাঠাতে চান। বহুমুখী স্যামসাং কোম্পানিও পৃথিবীর কক্ষপথে ৪,৬০০ স্যাটেলাইট পাঠাতে চায়৷ এই সব কোম্পানি সত্যি তাদের পরিকল্পনা কার্যকর করলে একটি বিষয় নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকবে না। তখন আমাদের মাথার উপর আকাশ স্যাটেলাইটে ভরে যাবে।
+ There are no comments
Add yours