সীতাকুণ্ডে ধরা পড়ল বিস্ময়কর ইলেকট্রিক ইল মাছ

Estimated read time 1 min read
Spread the love

সংবাদদাতা॥

সীতাকুণ্ডে ধরা পড়ল বিস্ময়কর ইলেকট্রিক ইল মাছ্ শুক্রবার ২ সেপ্টেম্বর রাতে সীতাকুণ্ড উপজেলার বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের টেরিয়াইল এলাকার এক ব্যক্তি সাগর উপকূলের একটি খালে ডুব জাল পেতে রাখলে তাতে ধরা পড়ে মাছটি। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড স্থানীয় এক ব্যক্তির জালে ধরা পড়েছে বিস্ময়কর মাছ ইলেকট্রিক ইল।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে পৌরসদর উত্তর বাজার এলবি ট্রেডার্স রূপালী মাছের আড়তে মাছটি নিয়ে আসেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। এর আগে এমন মাছ কেউ দেখেনি তাই মাছটির নামও কেউ বলতে পারছিল না। পরে মাছটি দেখতে উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়। খবর দেওয়া হয় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন চৌধুরীকে। তিনি সহকারী রুহুল আমিনকে পাঠালে তিনিও মাছটিকে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হন।

পরবর্তীতে সাবেক মৎস্য কর্মকর্তা শামীম আহমেদের কাছে ছবি পাঠিয়ে ও মোবাইল ফোনে কথা বলে মাছটিকে দৈত্যকার ইলেকট্রিক ইল প্রজাতির মাছ বলে শনাক্ত করেন রুহুল আমিন।

তিনি বলেন, এটি ইলেকট্রিক ইল মাছ। এই প্রজাতির মাছ সচরাচর ভারতে বেশি দেখা যায়। এই মাছ খাওয়া যায়। তবে কাটার সময় সাবধানে কাটতে হবে। কারণ এই মাছের কাছে হাই ভোল্টেজের বিদ্যুৎ শক দেওয়ার ক্ষমতা আছে। এটি সাগরে বড়-বড় যেকোন প্রাণীকে বিদ্যুৎ শকের মাধ্যমে কাবু করতে সক্ষম।

উপজেলা মৎস্য অফিস জানায়, একটি ইলেকট্রিক ইল মাছ ৫০০ হতে ৮০০ ভোল্টের বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। শিকার ধরতে, ভয় পেলে বা শত্রুকে ঘায়েল করতে এরা বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে থাকে। এরা বৈদ্যুতিক শকে সাগরের বড় যেকোন প্রাণীকে ঘায়েল করতে সক্ষম। আর এর বৈদ্যুতিক শক মানুষের গায়ে লাগলে সাথে-সাথে মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই মাছটি যিনি ধরেছেন তিনি এ যাত্রায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেছেন।

মাছটির ওজন ৫ কেজি ৭০০ গ্রাম ও দৈর্ঘ্যে ৪ ফুট বলে জানান রূপালী মাছের আড়তের মালিক লিয়াকত আলী লাতু। তিনি বলেন, স্থানীয় এক ব্যক্তি খালে ডুব জাল বসালে তাতে শুক্রবার রাতে মাছটি আটকা পড়ে।

About The Author


Spread the love

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours