সুন্দরবনের দুবলার চরে পাঁচ মাসের শুঁটকি মৌসুম শুরু

Estimated read time 1 min read
Spread the love

অনলাইন ডেস্ক॥

সুন্দরবনের দুবলার চরে পাঁচ মাসের শুঁটকি মৌসুম শুরু হয়েছে। বনবিভাগের পাস নিয়ে বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দিবাগত রাত থেকে দুবলার চরে যেতে শুরু করেছেন জেলে, মহাজন ও শুঁটকি কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা। গত শুঁটকি মৌসুমে দুবলার চর থেকে বনবিভাগের রাজস্ব আদায় হয়েছিল ছয় কোটি টাকা। আর এবার সেটা বাড়িয়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাত কোটি টাকা।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শুক্রবার ভোরেই দুবলার চরে পৌঁছে শুরু হয়েছে তাদের ব্যস্ততা। কেউ ঘর বাঁধছেন। আবার কেউ সাগরে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন। কেউ কেউ মাছ নিয়ে চরে ফিরেছেন। কেউ বা সেগুলো বাছাইয়ের পর মাচায় শুকাতেও দিচ্ছেন।

এর আগে উপকূলের জেলেরা শুঁটকি মৌসুম ঘিরে নিজ নিজ এলাকায় জাল, নৌকা মেরামত ও সব ধরনের সরঞ্জাম প্রস্তুত করেন। এরপর বিভিন্ন এলাকার জেলে ও শ্রমিকরা দুবলার উদ্দেশ্যে জড়ো হন মোংলায়।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার থেকে বঙ্গোপসাগর পাড়ে সুন্দরবনের দুবলার চরে শুরু হয়েছে শুঁটকি মৌসুম। এ মৌসুম চলবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। টানা পাঁচ মাস সেখানে থাকতে হবে হাজারো জেলে ও শ্রমিককে। সাগরপাড়ের এ চরে তাদের থাকতে অস্থায়ী ঘর, মাছ শুকানোর চাতাল ও মাচা তৈরি করা হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান- স্থাপনা নির্মাণে সুন্দরবনের কোনো গাছপালা তারা ব্যবহার করবে না। তাই বনবিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী দুবলার চরে যাওয়া জেলেরা সঙ্গেই নিয়ে যাচ্ছেন প্রয়োজনীয় সামগ্রী।
দুবলা জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, উপকূলের বিভিন্ন এলাকার জেলেরা গভীর রাতে রওনা হয়ে ভোরে পৌঁছান দুবলার চরে। তারা চরে ঘর বাঁধতে শুরু করেছেন। জেলেদের থাকার ঘর বাঁধতে সময় লাগবে দু-তিনদিন।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগ জানায়, এবারের শুঁটকি মৌসুম ঘিরে উপকূলের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ১০ হাজার জেলে সমবেত হবেন দুবলার চরে। তারা দেড় হাজার ট্রলার নিয়ে মাছ ধরবেন গভীর সাগরে। সাগর থেকে আহরিত বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বাছাই করে শুঁটকি করবেন। এরপর সেই শুঁটকি বিভিন্ন মোকামে চালান করবেন। এ বছর চরে জেলেদের থাকা ও শুঁটকি সংরক্ষণের জন্য ১ হাজার ১০৮টি জেলে ঘর ও ৭৮টি ডিপো স্থাপনের অনুমতি দিয়েছেন বনবিভাগ।

About The Author


Spread the love

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours