অনলাইন ডেস্ক॥
তারা শিক্ষিত এমনকি রূপে, গুণে অনন্য। বয়স হয়েছে বিয়ের তা স্বত্বেও তারা অবিবাহিতই রয়েছেন। কেন তাদেরকে কোনো পুরুষ বিয়ে করতে রাজি হন না? এই প্রশ্নের সমাধান কোথায়?
এ গ্রামের সব নারীরাই সুন্দরী। তা সত্ত্বেও অদভুত এক রীতির কারণে কোনো পুরুষই তাদেরকে জীবনসঙ্গী করতে চান না। এ কারণে সুন্দরী হয়েও তাদেরকে থাকতে হচ্ছে অবিবাহিত।
দক্ষিণ-পূর্ব ব্রাজিলের পাহাড়ি এলাকায় বসবাসকারী এই সুন্দরীরা এভাবেই অবিবাহিত থাকছেন। পাহাড়ের পাদধেমের এই গ্রামের নাম নোইভা ডো কোরডোইরো। এ গ্রামে নারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রায় হাজার খানেক নারীর বসবাস রয়েছে এ গ্রামে। তাদের বেশিরভাগই অবিবাহিত। তবে কেন? সুন্দরী হলেও কেন বিয়ে হচ্ছে না তাদের?
এই গ্রামের সংস্কৃতি হলো নারীরা বিয়ে করে শ্বশুরবাড়িতে নয় বরং উল্টো পুরুষরাই ঘরজামাই হয়ে বউয়ের বাড়িতে আসতে হয়।
সপ্তাহ শেষে দু’দিনের জন্য স্বামীরা তাদের স্ত্রীদের গ্রামে যান। এরপর আবারও তাকে বেরিয়ে যেতে হয় গ্রাম থেকে। তবে বিভিন্ন উৎসব কিংবা অনুষ্ঠানে তাদের অবশ্যই আমন্ত্রিত হন।
এ ছাড়াও কৃষিকাজসহ বিভিন্ন কাজেও স্ত্রীকে সাহায্য করে। তবে সন্তানদের দেখাশুনা থেকে শুরু করে জীবিকা নির্বাহ সবই সামলান ওই গ্রামে নারীরা।
ছেলে সন্তানের বয়স ১৮ বছর বয়স হলে, তাদেরকেও বাইরে পাঠিয়ে দেন মায়েরা। ফলে ক্রমেই পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে গ্রামটি।
গ্রামেই স্ত্রীর সঙ্গে থাকতে হবে, তাও আবার সপ্তাহে দুদিন, এ নিয়ম মেনে আশপাশের এলাকার কোনো পুরুষই ওই গ্রামে বিয়ে করতে চান না।
+ There are no comments
Add yours