অনলাইন ডেস্ক॥
যেমন বেড়েছিল পিয়াজের দাম তেমনি হঠাৎ পড়ে গেল। পিয়াজ উৎপাদনের অন্যতম জেলা কুষ্টিয়ায় একদিনের ব্যবধানে প্রায় ডাবল সেঞ্চুরি করা পিয়াজের দাম নেমে এসেছে অর্ধেকে। কৃষকরা অধিক সংখ্যক পিয়াজ বাজারে তোলায় এ দরপতন-বলছেন আড়তদার ও ব্যবসায়ীরা। দাম কমে আসায় ভোক্তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও হতাশ কৃষকরা।
যেমন তরতর করে উঠেছিল পিয়াজের দাম তেমনি পড়ে গেল এক ধাপে। সোমবার সকালে বিপুল সংখ্যক কৃষক বাজারে ও আড়তে পিয়াজ নিয়ে আসলে দাম নেমে আসে অর্ধেকে। পাইকারি পর্যায়ে কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে। আর খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১শ থেকে ১শ ১০টাকায়। হঠাৎ দাম কমায় সন্তুষ্ট ভোক্তারা। কুষ্টিয়া পৌর বাজারের পিয়াজের আড়তের শাহিন ইসলাম বলেন, রবিবারও যেখানে পাইকারিতে ১৪০ টাকা কেজি আর খুচরা বাজারে ১৯০ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। প্রত্যাশা ভান্ডারের হাবিল উদ্দিন বলেন, এবারের দাম বাড়ার পেছনে মিডিয়ার ভূমিকা বেশি। হঠাৎ ভারতের রপ্তানি বন্ধের খবর দিলে কৃষক পর্যায় থেকে বাড়িয়ে দেয়া হয় দাম।
খুচরা বিক্রেতা আজাহার বলেন, পিয়াজের দাম কমলেও তার সাথে বাড়া রসুন ও আদার দাম কমেনি। রসুন ২০০ টাকা আর আদা ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে এতোটা কমে যাওয়ায় খরচ তুলতে পারবেন না বলছেন কৃষকরা। রফিক বলেন, আজ ৯০ টাকা করে বেচলাম। যে তিনদিন দাম বেশি ছিলো বৃষ্টির কারণে তুলতে পারিনি। বীজের দাম যতো বেশি এ দামে পিয়াজ বেচলে লাভ হবে না।
পিয়াজের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় কুষ্টিয়ায়ও মাঠে নেমেছিল প্রশাসন। জোরদার মনিটরিংও দাম কমে আসার অন্যতম কারণ বলছেন সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান। তবে, কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না আবার ভোক্তার জন্য দাম অসহনীয় না হয় এমন একটি যৌক্তিক বাজার সৃষ্টির ব্যাপারে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।
+ There are no comments
Add yours