১৫০০ টন কয়লার চেয়ে ১ কেজি ইউরিনিয়াম বেশি শক্তিশালী

Estimated read time 1 min read
Spread the love

অনলাইন ডেস্ক॥
১৫০০ টন কয়লার চেয়ে ১ কেজি ইউরিনিয়াম বেশি শক্তিশালী। বিশেষ করে পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয় এই ইউরেনিয়াম। গোলাবারুদের মধ্যে ইউরেনিয়াম ব্যবহারের মাধ্যমে ট্যাংকের মতো শক্তিশালী যুদ্ধযানকেও অনায়াসে ধ্বংস করা সম্ভব।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাশিয়া থেকে দেশে এলো বহু প্রতীক্ষিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি ইউরেনিয়াম। ঢাকায় শাহজালাল বিমানবন্দরে আসে ইউরেনিয়ামের প্রথম এই চালান। পরে তা সড়কপথে পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুরে প্রকল্প ‌এলাকায় নেওয়া হয়। আর এর মধ্য দিয়ে এই ইউরেনিয়াম বিষয়টি নিয়ে মানুষের মাঝে তৈরী হয় জানার একটা বিশেষ আগ্রহ।

ইউরেনিয়াম খুবই মুলবান একটি পদার্থ। পারমাণবিক অস্ত্র বানানোর ক্ষেত্রে এই ধাতু একটি অপরিহার্য উপাদান। ২০১৫ সালের হিসাব অনুযায়ী সর্ববৃহৎ ইউরেনিয়াম উৎপাদনকারী দেশ কাজাখস্তান। এর পরই আছে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া।

বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারমাণবিক চুল্লির জন্য ইউরেনিয়াম ধাতুটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। যেখানে ১৫০০ টন কয়লা থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব, তার ঠিক সমপরিমান বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সেখানে মাত্র এক কেজি ইউরেনিয়ামই যথেষ্ট। ইউরেনিয়াম থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে কলকারখানা চালনাসহ নগর-বন্দর আলোকিত করা হয়।

জার্মান রসায়নবিদ মার্টিন হাইনরিখ ক্ল্যাপরথ এই ধাতুটি আবিষ্কার করেন ১৭৮৯ সালে। তিনি ইউরেনাস গ্রহের নামে এর নাম রাখেন ‘ইউরেনিয়াম’। ১৮৯৬ সালে পদার্থবিজ্ঞানী হেনরি বেকরেল ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়া আবিষ্কার করেন।

পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয় ইউরেনিয়াম-২৩৫। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলার সময় জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে লিটলবয় ও ফ্যাটম্যান নামের যে দুটি বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছিল, ওই দুটি বোমা তৈরিতেই ইউরেনিয়াম ব্যবহার করা হয়েছিল। সামরিক ক্ষেত্রে ইউরেনিয়ামের ব্যবহার সর্বাধিক। গোলাবারুদের ভেদনক্ষমতা বৃদ্ধিতে এই ধাতু ব্যবহার করা হয়। এর ফলে অস্ত্রের ধ্বংসক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। গোলাবারুদের মধ্যে ইউরেনিয়াম ব্যবহারের মাধ্যমে ট্যাংকের মতো শক্তিশালী যুদ্ধযানকেও ধ্বংস করা সম্ভব।

ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা যেকোনো প্রাণীর জন্যই ক্ষতিকর। পারমাণবিক অস্ত্র ছাড়াও ইউরেনিয়ামের খনি ও কারখানায় কাজ করার মাধ্যমে যে কেউ ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তার সংস্পর্শে আসতে পারে। এই ধাতুর তেজস্ক্রিয়তার প্রভাবে মানুষের কিডনি, মস্তিষ্ক, যকৃত, হৃৎপিণ্ডসহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকে। দীর্ঘ সময় ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তার কারণে ক্যান্সার হয়ে থাকে।

 

About The Author


Spread the love

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours