১৫ হাজার খরচে লতি চাষে বিঘাপ্রতি লাভ লাখ টাকা!

Estimated read time 1 min read
Spread the love

অনলাইন ডেস্ক॥
সাম্প্রতিক সময়ে কৃষকদেরকে দেশি জাতের মধ্যে উদ্ভাবিত বারি পানি কচু-১ এবং বারি পানি কচু- ২ চাষের জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। এই জাতের কচুর স্বাদ খুব ভাল হওয়ায় এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। চলতি বছর ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এনে ৬ হেক্টর জমিতে বারি জাতের কচুর লতি চাষ করা হয়েছে।

এই বারি জাতের কচুর লতি চাষে এখন স্বাবলম্বী কৃষকরা। বারি জাতের কচুর লতি চাষে খরচ অনেক কম লাগে। এছাড়াও সারাবছরই লতির চাহিদা থাকায় বাজারদর ভাল থাকে। তাই এখানকার কৃষকরা এই জাতের কচুর লতি চাষে ঝুঁকছেন। এছাড়াও কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের নানা ভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

বারঘরিয়া ব্লকের একজন কৃষক দেশের গণমাধ্যমকে বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শ নিয়ে তিনি ২০ শতক জমিতে পানি কচু-২ চাষ করেছি। এ জাতের কচু ও লতি দুটোরই ভালো ফলন হয়। স্বাদ অতুলনীয় হওয়ায় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা জমি থেকেই ভালো দরে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। ইতোমধ্যে জমি থেকে ৩৫ হাজার টাকার লতি বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি। তার আশা আরো ৬০-৭০ হাজার টাকার লতি বিক্রি করতে পারবেন। বিঘাপ্রতি লাখ টাকা আয় করা সম্ভব বলে জানান তিনি।

আরেক কৃষক বলেন, তিনি এবার প্রথমবারের মতো পানি কচু-২ চাষ করেছেন। অন্যান্য ফসল ও ধানের চাইতে এর চাষ অনেক লাভজনক। কৃষি বিভাগের প্রকল্পের আওতায় এবং তাদের থেকে পরামর্শ নিয়ে বারি জাতের কচুর লতি চাষ করে লাভবান হয়েছেন তিনি। আগামীতে আরো বেশি জমিতে এই জাতের কচুর চাষ করবেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়- কচুর লতি একটি অর্থকরী ফসল। দেশি বারি জাতের কচুর লতি খুব সুস্বাদু। এতে প্রচুর পরিমানে আয়রন রয়েছে যা মানব দেহের জন্য খুব উপকারি। এছাড়াও এর চাষে বিঘাপ্রতি ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হয়। আর এক মৌসুমে কৃষকরা ৭০-৮০ হাজার টাকা লাভ করতে পারেন।

About The Author


Spread the love

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours