অনলাইন ডেস্ক॥
হঠাৎ করেই বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংসের দাম কেজিতে অন্তত ২০০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।
কয়েকদিন আগে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিভিন্ন দোকানে পাওয়া যাচ্ছে ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকায়। রাজধানীর লালবাগ, হাজারীবাগ, কামরাঙ্গীরচর, মালিবাগ, যাত্রাবাড়ীর মতো এলাকায় গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ৬০০ টাকায়।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মাংসের দোকানগুলোতে ক্রেতাদেরে ভিড় দেখা গেছে। অনেকে দোকানেই লাইন দিয়ে মাংস কিনতে হয়েছে ক্রেতাদের। মাংস কিনতে এসে লাইনে দাঁড়ানো শিক্ষার্থী মো. সাকিব গণমাধ্যমকে বলেন, “দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি অনেক ব্যাচেলর খাদ্যাভাসবদলে দিয়েছে। ঈদ-উল-আজহার পর তারা বাজার থেকে মাংস কিনতে পারেন নি। তবে দাম কিছুটা কমায় আজ কিনতে এসেছেন বলে জানান তিনি।”
মোহাম্মদ সালাউদ্দিন নামের একজন ক্রেতা মাংসের দাম কমায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, “মাংসের দাম কমে যাওয়ায় তারা বেশ খুশি।
তিনি বলেন তিনি তার ছেলে মেয়েদের জন্য মাংস কিনতে এসেছেন; তারা গরুর মাংস বেশ পছন্দ করে। মাংসের দাম কমায় বিক্রি বেড়েছে বহুগুণ বেড়েছে জানিয়ে নবাবগঞ্জ বাজারের মাংস ব্যবসায়ী রাহিম বলেন, “আগের তুলনায় প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাম ১৫০-২০০ টাকা কমেছে। আগে দিনে একটি গরুর মাংস বিক্রি করা কঠিন ছিল, এখন আমরা সহজেই দুই থেকে তিনটি গরুর মাংস বিক্রি করছি। নবাবগঞ্জ বাজার মালিক সমিতির সভাপতিগণমাধ্যমকে বলেন, “গত ১৮ বছর ধরে এই বাজারের সভাপতি তিনি, কখনোই মাংসের দাম এত কমতে দেখেননি। দাম কমে যাওয়াটা ভালো; বিক্রি বেড়েছে ব্যবসায়ীদের। সাধারণ মানুষ এখন তাদের চাহিদা অনুযায়ী মাংস কিনতে পারছে।
এদিকে কম দামে বিক্রি হওয়ায় গরুর মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর প্রকাশ্যেই গরু জবাই দিচ্ছেন বলে জানান অনেকে। ফলে ক্রেতারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
ক্রেতাদের মতে, যদি ৫৮০ টাকায় বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা লাভ করতে পারেন, তাহলে তারা দাম কমান না কেনো। কোন সিন্ডিকেট এর সাথে জড়িত? তাদেরকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব সকলের। তাদের মতে, সিন্ডিকেট ভাঙতে পারলে বাজারের সকল পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালে চলে আসবে- এমনটাই তাদের ধারণা।
+ There are no comments
Add yours