৬ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে এশিয়ার বৃহত্তম ওয়াটার পার্ক বাংলাদেশে

Spread the love

অনলাইন ডেস্ক॥

প্রায় ৬০ হাজার বর্গমিটার জমির ওপর নির্মিত মুন্সিগঞ্জের এই পার্কটি দক্ষিণ এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম ওয়াটার পার্ক।

মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার বাউশিয়ায় বাংলাদেশের প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক “মানা বে” দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। পার্কটির নির্মাণসহ যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে সম্পূর্ণ ব্রিটিশ বিনিয়োগে পরিচালিত এসিএস টেক্সটাইলস লিমিটেড। দেশের অন্যান্য থিম পার্ক থেকে যে বৈশিষ্ট্যটি একে আলাদা করেছে তা হলো- পার্কের কেন্দ্রে ওশেনিয়া মহাদেশীয় বা পলিনেশিয়ান স্টাইলের একটি কৃত্রিম আগ্নেয়গিরি।

বাস্তবমুখর করার জন্য এতে যোগ করা হয়েছে শব্দ, আলো, ধোঁয়া এবং আগুনের স্পেশাল ইফেক্ট। ৪৫ মিটার ভিত্তির উপর ২৫ মিটার উঁচু আগ্নেয়গিরিটি দর্শনার্থীদের সম্মুখে সগর্বে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। তারপরেই এর অনন্য বৈশিষ্ট্যটি হচ্ছে স্প্ল্যাশ ওয়ার্কস ওয়াটার অংশের কৃত্রিম নদী, যেটি এশিয়ার দীর্ঘতম লেজি রিভার বা কৃত্রিম নদীগুলোর মধ্যে একটি। ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৪ মিটার প্রস্থের জলাশয়গুলোতে সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্য বরাবর সুনির্দিষ্ট বিরতিতে বসানো হয়েছে ১৫টি ইম্পেলার মেশিন। এগুলো নদীর কেন্দ্রীয় গতিপথ এবং শাখাগুলোর মধ্যে পানির প্রবাহ সচল রাখে। ডিনো বিচ ওয়াটার পার্কের কৃত্রিম নদীর আদলে এখানকার পানিতেও ব্যবহার করা হয়েছে কৃত্রিম শিলা পাথর। ১৭টি রাইড ও ৪টি অ্যাট্রাকশনের বৈচিত্র্যময় এক পার্ক এই মানা বে।

এখানে মুল আকর্ষণগুলোর মধ্যে প্রথমেই বলা যেতে পারে অ্যাকোয়ারাশের ম্যাট ওয়াটার স্লাইডারের কথা। এখানে পুরো রাইড ভ্রমণ সম্পন্ন হয় চারটি সর্পিলার সেগমেন্টে: লাভা ড্যাশ, অ্যাকোয়াড্রেনালাইন, ভার্টিগো ভর্টেক্স, লুপ অফ ফেইথ। টাইডাল টুইস্ট-এর টিউব ওয়াটার স্লাইডারগুলো হলো- রিপটাইড বিপ্লব, টেম্পেস্ট টুইস্টার, সাইক্লোন ফিউরি, ও টার্বো টিউব। বাচ্চাদের জন্য আলাদাভাবে আছে কিডস ওয়াটার স্লাইড ফানস্ট্রিম, অ্যাকোয়া শুটার স্প্ল্যাশটোপিয়া, রেইন ফোর্ট্রেস ৫ এবং ইন্টারেক্টিভ অ্যাডভেঞ্চার শেলশ্যাক। মানা বে’তে আছে ৭টি রেস্টুরেন্ট, ৪টি ফুড ট্রাক এবং নিভৃতে সময় কাটানোর জন্য ছায়াদানকারী ১৮টি অভিজাত তাবু বা ক্যাবানা।

৪ ফুটের ঊর্ধ্বে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মানা বে’তে ঢোকার টিকেট ৬ হাজার টাকা। ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার বাচ্চাদের টিকেট মূল্য ৩ হাজার টাকা। ৩ ফুটের নিচের শিশুদের জন্য প্রবেশ সম্পূর্ণ ফ্রি। এর প্রবেশ মূল্যের মধ্যেই সব রাইডের মূল্য অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ ভেতরে ঢোকার পর আলাদা করে কোনো রাইডের জন্যে টিকেট কাটার প্রয়োজন নেই।

শুক্র ও শনিবার এবং সরকারি ছুটির দিনগুলোতে খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত। আর বাকি দিনগুলোতে দর্শনার্থীরা সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মানা বে ঘুরতে পারেন।

About The Author


Spread the love

You May Also Like

More From Author

+ There are no comments

Add yours